দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া সেরা ১০টি স্মার্টফোনের তালিকায় স্থান করে নিলো শাওমি রেডমি ১৩সি। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এলো। এই অর্জন শাওমির স্মার্টফোনের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তার প্রতিফলন।
নানা ফ্ল্যাগশিপ মডেলের ভিড়েও শাওমি রেডমি ১৩সি’র এই তালিকায় নবম স্থান অর্জনের মাধ্যমে স্মার্টফোনের বাজারে শাওমির অনন্য অবস্থান আবারও প্রমাণিত হলো। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ফিচার ও সুলভ মূল্যের কারণে স্মার্টফোনটি সকল পর্যায়ের গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।
শাওমি রেডমি ১৩সি-এর সাফল্য ও গ্রাহকদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই কোম্পানিটি সম্প্রতি বাজারে নিয়ে এলো শাওমি রেডমি ১৪সি, যা ইতিমধ্যেই প্রযুক্তি প্রেমীদের মধ্যে বেশ ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। এই স্মার্টফোনটিতে স্মুথ স্ক্রলিং এবং এটি দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল স্পর্শের জন্য দেওয়া হয়েছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৮৮ ইঞ্চি ডিসপ্লে। হাই পারফম্যান্সের জন্য এতে আরও ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি৮১ আল্ট্রা প্রসেসর। সেইসঙ্গে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের এআই ডুয়াল-ক্যামেরা সিস্টেম, যা ধারণ করতে পারে উচ্চ রেজল্যুশনের নিখুঁত ছবি। তাছাড়াও এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৫১৬০ এমএএইচের একটি শক্তিশালী ব্যাটারি যা নির্বিঘ্নে দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার নিশ্চিত করে ও ব্যবহারকারীদের কাছে ফোনটি হয়ে উঠেছে একটি নির্ভরযোগ্য পছন্দও।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের এক প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, এই বছর শাওমি স্মার্টফোন ব্যবসায় যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে তার পিছনেও ছিলো শাওমি রেডমি ১৩সি-র বেশ বড় অবদান। কাউন্টারপয়েন্টের ভাষ্যমতে, ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে শাওমির স্মার্টফোন খাত হতে আয় হয়েছে ৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার, যা মূলত ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বাজারে সেরা ৫ জনপ্রিয় স্মার্টফোনের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে শাওমি রেডমি ১৩সি। গ্রাহকদের জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বিভিন্ন স্মার্টফোন বাজারের নিয়ে আসার মাধ্যমে নিজের এই দৃঢ় অবস্থানও তৈরি করেছে।
শাওমি রেডমি ১৩সি-র এই সাফল্য কেবলমাত্র শাওমির স্মার্টফোনের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকেই নয়, বরং তার ব্যবহারকারীদের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রযুক্তি পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি ও স্মার্টফোন শিল্পে বৈশ্বিক অবস্থানকেও আরও শক্তিশালী করেছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org