দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাছের ডালে ভর দিয়ে সোজা দাঁড়িয়ে রয়েছে ২৫ ফুটের এক অজগর! সাপটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৫ ফুট লম্বা এবং ৪ ফুট চও়়ড়া। সাপটির ভিডিও দেখে আশপাশের অঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
পা নেই তবুও মাটি থেকে ১০ ফুট উঁচুতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো এক বিশাল অজগর। লেজে ভর দিয়ে প্রায় ১০ ফুট উঁচু একটি গাছের ডালে চড়ে বসলো রাক্ষুসে ওই সাপটি। ভারতের উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলার আদারি গ্রামে দেখা গেছে ওই সাপটির। গাছের ডাল ধরে ভারি শরীরটি টান টান করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে ওই সাপটি। যা দেখে হতবাক হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারাও। এই আশ্চর্য ঘটনার একটি ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। স্থানীয়দের দাবি হলো, বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলো অজগরটি। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন বনদফতরের কর্তা সুশান্ত নন্দা। যিনি প্রায়ই এই ধরনের ভি়ডিও এক্স মাধ্যমে নিজের হ্যান্ডল হতে পোস্ট করে থাকেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, সাপটি একটি পেয়ারা গাছে ওঠার জন্য চেষ্টা করছিল। মাটি থেকে বেশ কিছুটা উপরে ডালে নাগাল পাওয়ার জন্য সাপটি প্রথমে মুখ উঁচু করে উঠে পড়ে। তারপর ধীরে ধীরে গোটা শরীরকেই সোজা করে দেয়। সাপটি দের্ঘ্যে প্রায় ২৫ ফুট লম্বা এবং ৪ ফুট চও়়ড়া। সাপটির ভিডিও দেখে আশপাশের অঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে বেশ আতঙ্ক তৈরি হয়। ২৬ ডিসেম্বর ওই ভিডিওটি প্রকাশ করার পর বন দফতরের পক্ষ হতে একটি দল ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন। অজগরটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টাও চলছে বলে বন দফতরের পক্ষ হতে জানানো হয়। বনকর্তারা গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org