দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওটস স্বাস্থ্যকর হলেও কিছু শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে ওটস মারাত্মকও হয়ে উঠতে পারে। কাদের ওটস থেকে দূরে থাকা উচিত? আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।

বর্তমান সময়ে লুচি-রুটি-পরোটা ছেড়ে অর্ধেক বাঙালির সকালের টিফিন ওটস। যারা ওজন কমিয়ে ছিপছিপে হতে চাইছেন, ওটস তাদের কাছে যখের ধনের মতোই। যদিও পুষ্টিবিদদের মতে, শুধু ওটস খেয়ে ওজন কমানোর ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। তা সত্ত্বেও বাঙালির মনেপ্রাণে জড়িয়ে রয়েছে ওটস। গুণমানের দিক থেকে ওটস নিঃসন্দেহে সমৃদ্ধ একটি খাবার। ফাইবার, মিনারেলসসহ আরও অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে এতে। তবে স্বাস্থ্যকর হলেও কিছু শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে ওটস মারাত্মকও হয়ে উঠতে পারে। কাদের ওটস থেকে দূরে থাকতে হবে? আজ সেটি জেনে নিন।
আইবিএস রোগীদের
‘ইরিটেবল বাওয়াল সিনড্রোম’ থাকলে ওটস এড়িয়ে চলতে হবে। ওটসে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। ফাইবার হজমে সহায়ক হলেও, অত্যাধিক ফাইবার ‘আইবিএস’-এর রোগীদের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে। পেট ফাঁপা, গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকিও থাকে। ওটস খেতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই খেতে হবে।
ডায়াবেটিস
ওটসে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে। যে কারণে ওটস রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়েও দিতে পারে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ডায়াবেটিক রোগিরা পরিমিত পরিমাণে ওটস খেতেই পারেন। সেইক্ষেত্রে ঝুঁকি কম। তাই ডায়াবেটিসে যদি ওটস খেতে হয়, তাহলে অল্প পরিমাণে খেতে হবে।
মিনারেলসের ঘাটতি
অনেকেই ক্যালশিয়াম, আয়রণ, ফাইবারের মতো বেশ কিছু উপকারী উপাদানের ঘাটতিতে ভোগেন। তেমন কিছু হলে ওটস না খাওয়াই ভালো। কারণ হলো ওটসে রয়েছে ফাইটিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড শরীরে অন্যান্য উপকারী উপাদানের শোষণেও বাধা দেয়। এমন কোনও সমস্যা থাকলে ওটস খাওয়া বন্ধ করাই ভালো। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org