দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গতকাল ঈদের দিন রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ চড়া দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে। তবে খুচরা ক্রেতাদের কাছ থেকে পাইকারী ক্রেতা ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনতে বেশ গড়িমসি করছে বলে জানা গেছে।
চামড়ার দাম বেশ ভালো দেখা গেছে এবারের কোরবানীর ঈদে। যেসব চামড়া গত বছর ৮শ’ বা এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে সেসব চামড়া এবার বিক্রি হয়েছে দেড় হাজার টাকার উপরে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে ট্যানারি মালিকরা এসব চামড়া কিনতে বেশ গড়িমসি করছে এমন অভিযোগ করেছে সরবরাহকারীরা। তারা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা চামড়া ক্রয় করছেন তবে খুব ধীর গতিতে। এমন অবস্থা চললে তাদেরকে বেশ সমস্যায় পড়তে হবে।
খুচরা ক্রেতা থেকে অন্তত আরও দুই হাত হয়ে ট্যানারি মালিকদের কাছে পৌঁছে থাকে এই চামড়া। ট্যানারি মালিকরা চামড়া সঠিক সময় না কিনলে এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ তারা লাখ লাখ টাকার চামড়া কিনছেন বিভিন্ন ভাবে টাকা ম্যানেজ করে। সঠিক সময় ক্রয়কৃত চামড়া বিক্রি করতে না পারলে তাদের অনেক মাশুল গুনতে হবে।
উল্লেখ্য, ঈদকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের দাম বেঁধে দেয়। বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া কিনবেন ৮৫-৯০ টাকায়। আর ঢাকার বাইরে কিনবেন ৭৫-৮০ টাকায়। এছাড়া সারাদেশে প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম ৫০-৫৫ টাকা, বকরির চামড়া ৪০-৪৫ টাকা এবং মহিষের চামড়া ৪০-৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।