দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যবহারকারীদের ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে ফেসবুক রিলসে বড় রকমের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে মেটা। ইতিমধ্যেই ফেসবুকের ‘রিকমেন্ডেশন ইঞ্জিন’ কিংবা আধেয় সুপারিশ প্রযুক্তি আধুনিকও করা হয়েছে।

নতুন এই সুবিধাটি চালু হলে ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী নতুন এবং প্রাসঙ্গিক রিলস আরও সহজেই দেখতে পাবেন। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা, মেটা এখন ভিডিওনির্ভর আধেয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ও এই ধারাতেই ফেসবুক ধীরে ধীরে টিকটকের আদলেই পরিবর্তিত হচ্ছে।
মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ গত জানুয়ারিতেই জানিয়েছিলেন, তিনি পুরোনো দিনের ফেসবুকেই ফিরে যেতে আগ্রহী। সেই লক্ষ্যে ফেসবুককে আরও জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে এই বছর একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্ল্যাটফর্মটির ভিডিও কনটেন্ট ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন আনার কারণে ফেসবুক এখন টিকটকসহ অন্যান্য স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেও সমানতালে প্রতিযোগিতা করতে পারবে বলেও মেটা মনে করছে।
মেটার এক তথ্যমতে, ব্যবহারকারীরা যেনো সাম্প্রতিক সব ভিডিও দেখতে পারেন, সে জন্য ফেসবুকে এখন একই দিনে প্রকাশিত ভিডিও প্রদর্শনের সংখ্যা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেইসঙ্গে ‘ফ্রেন্ড বাবল’ নামে একটি নতুন সুবিধা যুক্ত করা হয়। এই নতুন সুবিধায় ভিডিও’র নিচের বাঁ কোণে দেখা যাবে কোনো বন্ধু সেই ভিডিওতে লাইক দিয়েছেন কি-না।
ব্যবহারকারী চাইলেই ওই বাবলে ট্যাপ করে বন্ধুর সঙ্গে প্রাইভেট চ্যাটে আলাপও শুরু করতে পারবেন। এক বিবৃতিতে মেটা জানিয়েছে যে, বন্ধুদের লাইক দেখা সব সময়ই ফেসবুকের মূল অভিজ্ঞতার অংশ ও তারা এই পরিচিত অভিজ্ঞতায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই ‘বাবল’ এর মতো নতুন ফিচার তৈরি করছে।
মেটা দাবি করেছে যে, ইতিমধ্যেই ফেসবুকের র্যাঙ্কিং অ্যালগরিদম উন্নত করার কারণে ব্যবহারকারীদের ভিডিও দেখার সময় আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org