দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন ভোটার বিহীন এক দলীয় নির্বাচনেও জাল ভোট পড়েছে। আবার ্অনেক প্রার্থী ক্ষমতা খাটিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন এমন অভিযোগও রয়েছে বিস্তর।
গতকাল অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় নির্বাচনে জাল ভোটের অনেক অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই ভোট দিতে এসে দেখেছেন তাদের ভোট আগেই হয়ে গেছে। আবার ভোট কেন্দ্র দখল করে সিল মারার ঘটনাও ঘটেছে।
এমন ঘটনা আমরা দেখেছিলাম ৮৮তে। তখন এরশাদের নির্বাচনে একতরফা হওয়ায় সিল মারার ঘটনা ঘটে। এবার ২০১৪ সালেও এমন ধরনের অভিযোগ শোনা গেছে গতকালের নির্বাচনে। অনেক ভোটার অভিযোগ করেছেন তাদের ভোট আগেই দেওয়া হয়ে গেছে। অথচ নির্বাচন কমিশন এ বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলেছেন, এখন আগের মতো নয়, প্রতিটি ভোটারের সঙ্গে ছবি ছাপানো আছে। তাছাড়া আইডি কার্ড দেখেই ভোট নেওয়া হয়। সেখানে জাল ভোট হওয়ার কোন সুযোগ নাই। কিন্তু বাস্তবের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
হয়তো নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের যোগ সাজসে এমন ধরণের ঘটনা ঘটেছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। ভোটার বিহীন একতরফা নির্বাচনে এমনটি কেওই আশা করেননি। এমনও দেখা গেছে কিছু কিছু কেন্দ্রে কোন ভোটই পড়েনি। লালমনিরহাট-৩ আসনের ২৭টিতে কোনো ভোট পড়েনি। ১৬টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ থেকে ৬৩টি।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ও তাড়াইল এবং সিরাজগঞ্জ-৫, রাজশাহী-৬, লক্ষ্মীপুর-৪ প্রভৃতি আসনের কয়েকটি জায়গায় ব্যাপক জাল ভোট দেওয়ার পরও ভোটার উপস্থিতি খুব বেশি দেখানো যায়নি। এ জন্য ভোট গ্রহণ শুরু পর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ১৯ প্রার্থী।
উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন গতকাল ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা ঘটে। ২৫ জনের প্রাণহানী ঘটে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট লাগাতার অবরোধ ও হরতালের মাধ্যমে এই নির্বাচন বর্জনের কর্মসূচি পালন করছে