দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাল ভোট দিয়ে জেলের ঘানি টানতে যাচ্ছেন আওয়ামীলীগের এক নেত্রীকে। তাও আবার তিনি জাতীয় পার্টিকে জেতানোর জন্য জাল ভোট দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে!
গতকাল অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় নির্বাচনে জাল ভোটের অনেক অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই ভোট দিতে এসে দেখেছেন তাদের ভোট আগেই হয়ে গেছে। আবার ভোট কেন্দ্র দখল করে সিল মারার ঘটনাও ঘটেছে। এমন অনেক ঘটনার আরেকটি ঘটনা জাল ভোট দিতে এসে ধরা পড়ে ৫ বছরের সাজা হয়েছে স্বয়ং ক্ষমতাসীন দলের এক নেত্রীর!
একটি দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ওই খবরে বলা হয়েছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে লাঙ্গল প্রতীকে জাল ভোট দেওয়ায় আওয়ামী লীগের নেত্রী উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলি আজাদসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন-সংক্রান্ত বিশেষ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসেন শিকদার গতকাল রোববার জেলা সার্কিট হাউসে শিউলি আজাদ ও আশরাফ উদ্দিনকে পাঁচ বছর করে এবং তিন নারী সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে তিন বছর করে সাজা দেন। সাজাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন, তিন নারী সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কোহিনুর বেগম, জোবেদা বেগম ও নাছিমা বেগম।
সংবাদে আরও বলা হয়েছে, শিউলি আজাদ ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর দলীয় কোন্দলে নিহত উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এ কে এম ইকবাল আজাদের স্ত্রী। শিউলি আজাদ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নও পেয়েছিলেন। পরে তিনি দলের নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধাকে সমর্থন দেন।
উল্লেখ্য, জেলা যুগ্ম জজ কামাল হোসেন শিকদার গতকাল রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার সময় হাতেনাতে তিন নারী সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে আটক করেন। ওই সময় তাঁদের কাছ থেকে ৫০টি জাল ভোটও জব্দ করেন। পরে তাঁদের সরাইল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। ওই তিন নারী পুলিশকে লিখিতভাবে জানান, শিউলি আজাদ ও আশরাফ উদ্দিনের নির্দেশে ও চাপে তাঁরা জাল ভোটে সহায়তা করেছেন।