দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দশম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো গতকাল ৫ জানুয়ারি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন হাস্যকর নির্বাচন মনে হয় দেখা যায়নি। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়াতে উঠে এসেছে এই নির্বাচনের ব্যাপক সমালোচিত ভিডিও যা বিভিন্ন টিভি মিডিয়া থাকে সংগৃহীত।
১৯৮৮ সালে যখন এইচ. এম. এরশাদ দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তখন ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোট হয়েছিল। তখন দেখা গিয়েছিল মানুষ ভোট দিতে যায়নি। তখন জাতীয় পার্টির দলীয় লোকজন কেন্দ্রে বসে হাজার হাজার ব্যালট নিয়ে ‘হ্যাঁ’ সিল মেরে বাক্স ভরেছেন। তখনকার বিষয়গুলো অবশ্য এতোটা ন্যাকেটভাবে আসেনি। কারণ তখন বাংলাদেশে এতো মিডিয়া ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে যে পরিমাণ মিডিয়া তাতে কোন কিছুই গোপন থাকছে না।
দশম জাতীয় নির্বাচনেও ঠিক এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। যা দেশের মিডিয়া ও সোস্যাল সাইটগুলোতে ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছে।
১) ফেসবুকে এমন বেশ কিছু ভিডিও পাওয়া যায়। জালভোটসহ বেশ কিছু অসংলগ্ন বিষয় এতে উঠে আসে। এসব ভিডিওতে দেখা যায়, ভোট দিয়েও আবার লাইনে দাঁড়িয়েছেন ভোট দেওয়ার জন্য। সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলে নানা ধরনের হাস্যকর বক্তব্য দিচ্ছেন তারা।
২) আবার আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি জাল ভোট দিচ্ছেন। কোন ভোটার ভোট দিতে আসেননি সেটি খুঁজে নিয়ে তিনি ওই ভোট দিচ্ছেন। ভোট দেওয়ার পর বের হলে সাংবাদিকরা তার বক্তব্য নিতে গেলে দৌড়ে পালান। সাংবাদিকরা তাকে যখন তেড়ে ধরেন তখন পুলিশের সহযোগিতা ওই ব্যক্তি পালিয়ে যান।
৩) আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, বাইরে বিশাল লাইন কিন্তু ভেতরে কোন ভোটার নাই। ভেতরে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে এজেন্টরা বলেছেন, তিন ঘণ্টায় মাত্র ১টি ভোট পড়েছে।
৪) আবার আরেকটি মোবাইল ভিডিওতে দেখা গেলো, ভোটদাতাকে বলা হচ্ছে, দেওয়া হয়ে গেছে। এই ভোট কাস্টকরা এমন কথা বলতে শোনা গেছে।
এভাবে ব্যঙ্গাত্বক এক হাস্যরসে পরিণত করা হয়েছে এবারের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে। বিরোধী দল বিহীন নির্বাচন নিয়ে এমনিতেই ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। তারওপর এধরনের কর্মকাণ্ড নির্বাচনকে আরও বিতর্কিত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
চিত্র: (কার্টুন) হুদা