দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এখনও সংকটজনক অবস্থায় রয়েছেন ‘মহানায়িকা’ হিসেবে খ্যাত সুচিত্রা সেন। তাঁর হৃদ্স্পন্দন গতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সুচিত্রা সেনকে নিয়ে চিকিৎসকদের দুশ্চিন্তা দূর হয়নি এখনও। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রার ঘন ঘন ওঠানামা ও তার সঙ্গে ফুসফুসে জমে থাকা ফ্লুইডও তাদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রথম দিকে ফ্লুইড বের করা গেলেও পরে তা বের করতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। একমাত্র ওষুধের মাধ্যমে হৃদ্স্পন্দন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সুচিত্রা সেনের শরীরের দুর্বলতা রয়েছে। যে কারণে চিকিৎসকদের চিন্তা বেড়েছে। গতকাল রোববারে সন্ধ্যা ও গভীর রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বেশ কমে যায়। অপরদিকে হৃদ্স্পন্দন বেড়ে যায়। তড়িঘড়ি আপৎকালীন ‘মেডিক্যাল সাপোর্ট’ দিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনেন চিকিৎসকরা।
এন্ড্রোট্র্যাকিয়াল টিউবের ব্যবহারেও থেকে যাচ্ছে সমস্যা- এমন কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ক্রমাগত এই টিউবের ব্যবহারে ফুসফুস ও পাকস্থলীতে সংক্রমণও দেখা দিতে পারে- এমন আশংকা করছেন চিকিৎসকরা। এদিকে হাসপাতালে সুচিত্রা সেনের পাশে রয়েছেন মেয়ে মুনমুন সেন ও নাতনি রিয়া-রাইমা।
সুচিত্রা সেন ১৯৭৮ সালে সিনেমা জগত থেকে অবসর নেওয়ার পর মিডিয়া এবং ভক্তদের থেকে আড়ালেই ছিলেন। গত বছর ডিসেম্বরে ৮২ বছর বয়সী ওই অভিনেত্রীর ফুসফুসে পানি জমে গেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ২৩ ডিসেম্বর থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তবে ২৮ ডিসেম্বর তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটে।
ওই সময় তাকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর তার শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ আরও কমে গেলে ৩ জানুয়ারি ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে তার শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। এখনও তিনি ভেন্টিলেশনের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।
এছাড়াও ‘সাত পাকে বাঁধা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ১৯৬৩ সালে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন সুচিত্রা। তার আলোচিত সিনেমার তালিকায় রয়েছে ‘হারানো সুর’, ‘সাগরিকা’, ‘দীপ জ্বেলে যাই’, ‘উত্তর ফাল্গুনী’, ‘মমতা’, ‘দেবদাস’ ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা ২৩ ডিসেম্বর থেকে সুচিত্রা সেনের চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন।