দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রয়োজনীয় ডিভাইস হচ্ছে মোবাইল ফোন। প্রিয় এ যন্ত্রটি চুরি হয়ে গেলে ছবি, কাস্টমাইজড ডকুমেন্টস, সফটওয়্যার, ক্রেডিট কার্ড নাম্বার, নোটসসহ হারিয়ে যেতে পারে আরো প্রয়োজনীয় তথ্য। সুতরাং জেনে নিন মোবাইল ফোন চুরি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং ফোন চুরি হয়ে গেলে করণীয় সমূহ।
মোবাইল ফোনটি চুরি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে করণীয়ঃ
১) সচরাসচর সৌন্দর্য এবং দামের কারণে স্মার্টফোনগুলো চোর কিংবা ছিনতাইকারীর প্রধান টার্গেট থাকে। সুতরাং স্মার্টফোন নিয়ে চলাফেলার সময় চুরির হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এক্ষেত্রে করণীয় হচ্ছে অতি সাধারণ মোবাইল আবরণ ব্যবহার করা যা দেখে মনে হবে আপনার ফোনটি খুব সাধারণ একটি ফোন। রঙচঙে উজ্জ্বল আবরণ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
২) বাস, ট্রেন কিংবা নির্জন রাস্তায় মোবাইল ব্যবহার করা বিপদজনক বটে। যেকোন মুহুর্তে ছিনতাইকারী বা চোর থাবা দিয়ে মোবাইল নিয়ে দৌড়ে পালাতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার মোবাইল শক্ত করে হাত দিয়ে ধরে রাখা উচিত। দুই হাত দিয়ে ফোন ধরে রাখা যদিও কিছুটা অদ্ভুত কিন্তু চুরির হাত থেকে প্রিয় ফোন বাঁচাতে এই কাজ অবশ্যই করা উচিত।
৩) মোবাইল ফোন মানুষের দৈনন্দিনের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। গান শোনা, ফোনে কথা বলা, ইন্টারনেট ইউজ করা অথবা গেমস খেলাসহ নানাবিধ কাজে এটি ব্যবহৃত হয়। সেক্ষেত্রে রাস্তায় চলার সময় বিশেষ সর্তক ভঙ্গী অবলম্বন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যেমন গান শুনতে থাকলে সাউন্ড কমিয়ে দেওয়া যুক্তিযুক্ত যাতে আশেপাশে নজর রাখা যায়, কিংবা ফোনের উপর একটি হাত রেখে দেওয়া যেতে পারে। মোটকথা সর্তক এবং সাবধান অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে চুরির হাত থেকে নিজের প্রিয় ফোনকে রক্ষা করা সম্ভব।
৪) সচরাসচর দেখা যায় বাসে কিংবা ট্রেনে অপরিচিত সহযাত্রী গল্পগুজবের ছলে ফোন কোন মডেলের, দাম কেমন জেনে নেয়। তারপর সুযোগ বুঝে ফোন চুরি করে পালিয়ে যায়। সুতরাং অপরিচিত সহযাত্রীকে ফোনের মডেল জানানো থেকে বিরত থাকুন, বরং কম দামের ফোন, ভেঙ্গে গেছে এইসব ভুল তথ্যও দিতে পারেন।
৫) স্মার্টফোন কিংবা সাধারণ ফোন যাই হোক না কেন অবশ্যই ফোন এমন স্থানে রাখা উচিত যাতে চোর সহজে নাগাল না পায়। সচরাসচর আমরা ফোন পকেটে রাখি, এই অভ্যাস পরিবর্তন করে ব্যাগের ভেতরের পকেটে রাখা উচিত।
ফোন চুরি হয়ে গেলে করণীয় সমূহঃ
১) যদি আপনার অ্যানড্রয়েড ফোন চুরি হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ফাইন্ড মাই ডিভাইস অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে যদি যদি জিপিএস থাকে তবে ফোনের লোকেশনও দেখতে পারবেন। এটা যে কোন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর মাধ্যমে কন্ট্রোল করা যায়।
২) অবশ্যই নিকটস্থ পুলিশের কাছে চুরির ঘটনা জানান এবং প্রয়োজনে জিডি করে রাখুন।
৩) যদি চুরি যাওয়া মুঠোফোন চালু হয় তবে ট্র্যাকিং অ্যাপ্লিকেশন কাজ করে সুতরাং ট্র্যাকিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন কিল সুইচ পদ্ধতি। এই সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন দি ঢাকা টাইমসের রিপোর্ট মোবাইল ফোন চুরি ঠেকাতে আসছে কিল সুইচ প্রযুক্তি তে।
তথ্যসূত্রঃ সিনেট