দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনে যেসব লোক বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রানীদের খাওয়ার জন্য শিকার করবে তাদের ১০ বছর মেয়াদের জেলের শাস্তি ঘোষণা করেছে চীন সরকার। গত বৃহস্পতিবার এই আইন জারি করে চীনের কেন্দ্রীয় আদালত
শুধুমাত্র বন্যপ্রানী শিকারিই নয় যারা বন্যপ্রানীর মাংস কিনবে তাদের জন্যও রয়েছে শাস্তির বিধান। বন্যপ্রাণীর মাংস কেনার শাস্তি হিসেবে ভোগ করতে হবে তিন বছরের জেল। ৪২০টি প্রজাতির প্রানীকে চীন সরকার বিলুপ্তপ্রায় প্রানীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তার মধ্যে রয়েছে এশিয়ান ব্ল্যাক ভালুক এবং প্যাঙ্গোলিন্স। শিকারিরা এই সকল প্রানীদের মাংস খাওয়া ছাড়াও এদের চামড়া বিক্রির জন্য শিকার করে। চীনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম জিনহুয়া এই সকল বিলুপ্তপ্রায় প্রানীদের উপর শিকারের খবর প্রচার করে এবং এদের প্রতিহত করতে সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করে। অনেক শিকারি আইনের ফাঁক গলে শাস্তি থেকে বেঁচে যায়।
লেং শেং হলেন চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের আইন প্রণয়নকারী কমিশনের ডেপুটি প্রধান। তিনি আইনপ্রণেতাদের জানান,’যারা এই শিকার করা মাংস ক্রয় করে তারাই শিকারিদের প্রধান উৎসাহী।’ যারা এই সকল প্রাণীর মাংস খেয়ে থাকে তারা মনে করে এটি শরীরের জন্য বলদায়ক এবং অনেক রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির মাধ্যমে চীনের অপরাধ আইনে এই নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়।
চীনের মিথ অনুসারে ঐতিহ্যবাহী চায়না মেডিসিনের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো প্যাঙ্গোলিন বা বনরুই। অনেকে মনে করে এর মাংস পুড়িয়ে খেলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে এবং পক্ষাঘাতের ব্যথা প্রশমিত হয়। কালো ভালুকের ক্ষেত্রেও এমন ধারণা প্রচলিত রয়েছে। অনেকে মনে করেন ভালুকের পিত্ত খেলে পেটের দীর্ঘস্থায়ী পীড়া ভালো হয়।
অ্যানিমাল রাইটস অর্গানাইজেশনের মতে চীনে ১০০০০ ভালুকের খামার রয়েছে যেখানে তাদের পালন করা হয় তাদের পিত্ত বিক্রয়ের জন্য। চীনের রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম বন্যপ্রাণী চোরাচালানের বাজার। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী পশ্চিম এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় কিছু অঞ্চলে এখান থেকে বন্যপ্রাণী এবং তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচার করা হয়।
তথ্যসূত্রঃ বিবিসি