দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের বিদ্যুতের দাম প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
এ বিষয়ে গণশুনানির পর মূল্যায়ন কমিটি বলেছে, পিডিবির বিদ্যুতের বর্তমান মূল্যহার ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ বাড়ালে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে লোকসান থেকে উঠে আসা সম্ভব হতে পারে। সর্বশেষ গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে প্রায় ১৫ শতাংশ এবং পাইকারিতে ১৭ শতাংশ বাড়ানো হয়।
এরপর বিদ্যুত বিতরণকারী সংস্থাগুলো আবারো দাম বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠায় বিইআরসিতে। এতে গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা বলে পিডিবি। তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবে বলা হয়, ওই পরিমাণ মূল্য বৃদ্ধি করা না হলে তাদের এ বছর ৫১৬ কোটি টাকা লোকসান গুণতে হবে। খবর বাংলাদেশ নিউজ২৪।
ওই প্রস্তাবের ওপর রোববার গণশুনানির আয়োজন করে বিইআরসি। শুনানিতে কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও কমিশনের পরিচালক (বিদ্যুৎ) আবুল কাশেম ৪ দশকি ৮৪ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির সুপারিশ করেন। তবে এ বিষয়ে বিইআরসিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। উল্লেখ্য, এর আগে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (পবিবো) গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে ৯ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও গত ২৭ ডিসেম্বর গণশুনানির পর কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি দাম না বাড়ানোর পক্ষে মত দেয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুতের দাম সাত বার বাড়ানো হয়েছে। এরপরও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানোর জন্য তেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির তখনকার চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন জানান, দাম বৃদ্ধির পরও চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা ভর্তুকি লাগবে।