দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সমুদ্রের তলদেশ নিয়ে মানুষের গবেষণা ও আগ্রহের শেষ নেই। সেই আদিকাল থেকেই নানা গবেষণা করা হচ্ছে সমুদ্র তলদেশ নিয়ে। সেই সমুদ্রতলে এবার নয়া অ্যাটলান্টিস গড়তে যাচ্ছে জাপান!
পৃথিবীর সবকিছুই যেনো ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে। গবেষণা করা হচ্ছে নতুন নতুন বিষয়ের। মানুষ তার মেধা-মনন দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীকে। এবার পূরাণের পাতা ছেড়ে বাস্তবে মাথা তুলতে চলেছে অ্যাটলান্টিস। বিপুল জনসংখ্যার জন্য বাসস্থানের খোঁজে সাগরতলেই শেষ পর্যন্ত ডুব দিল জাপান। জাপান পানির নীচে গড়ে তুলবেন অত্যাধুনিক নগরী।
প্রতিদিনই লাফ দিয়ে বাড়ছে পৃথিবীর জনসংখ্যা। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রকট হচ্ছে স্থানাভাব। বহু চড়া দাম দিয়েও বাসস্থানের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না মধ্যবিত্তের। এমন সমস্যার সমাধান খুঁজতে এবার সমুদ্রের নীচে শহর পত্তনের পরিকল্পনা শুরু করেছেন জাপানের স্থপতিরা।
সম্প্রতি সে দেশের বিখ্যাত নির্মাণ সংস্থা শিমিজু কর্পোরেশনের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে যে, অচিরেই সমুদ্রের উপরে কিংবা অতলে পুরোদস্তুর জনপদ গড়ে তোলা হবে। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের নীচের সেই শহরের প্রতিরূপও উপস্থাপন করা হয়েছে।
এই প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছে ‘ওশান স্পাইরাল প্রোজেক্ট’। জানা গেছে, গোটা শহরটি তৈরি হবে একাধিক গম্বুজাকৃতি আকারের ছাদের সমন্বয়ে। শহরের একটির সঙ্গে অন্য অংশ জুড়বে জলনিরোধী এই গম্বুজাকৃতির ছাদও। তারা জানিয়েছেন, সমুদ্রতলের নগরীতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে সম্পূর্ণ এক অপ্রচলিত পদ্ধতিতে। তারা এভাবে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন যে, পানির নীচের কারখানায় মিথেন গ্যাস উৎপাদনকারী আণুবীক্ষণিক প্রাণীদের কাজে লাগিয়ে আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
পানির উপরে ওঠার জন্য থাকবে এক গোলাকৃতি এলিভেটর। যার সাহায্যে প্রয়োজনে অল্প সময়ে মূল ভূখণ্ডে পৌঁছনোও যাবে। আবার সাগরতল খুঁড়ে বেশ কিছু বিরল এবং দামি খনিজ পদার্থ উদ্ধার করার পরিকল্পনাও রয়েছে শিমিজু কর্তৃপক্ষের।
আশা করা হচ্ছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে সাগরতলের এই প্রথম শহর। নির্মাণ সময় ৫ বছর, আর খরচ পড়বে এক হাজার ৬০০ কোটি পাউন্ড বা ৩০ হাজার কোটি ইয়েন। তারা বলছেন, প্রায় ৫ হাজার মানুষ বাস করতে পারবেন সমুদ্র তলদেশের এই শহরটিতে।