দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনসমুদ্রের মতো জনসমাগম বাড়ছে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হেফাজতের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে এসে সমাবেশস্থলে জড়ো হচ্ছেন। হেফাজতে ইসলামীর কর্মী-সমর্থকরা ধর্ম অবমাননাকারী ‘ব্লগার-নাস্তিক’দের শাস্তির দাবিতে নানা স্লোগানে মুখরিত করে চলেছে পুরো মতিঝিল এলাকা।
মতিঝিলের শাপলা চত্বরকে এলাকা হাতে হাত ধরে মানব প্রাচীর তৈরি করেছেন হেফাজতের কর্মীরা। মতিঝিল থেকে পশ্চিমে পল্টন মোড়, উত্তরে আরামবাগ, দক্ষিণে ইত্তেফাক মোড় পর্যেন্ত হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন। অনেকে রাস্তার মধ্যে বসে পড়লেও প্রচণ্ড তাপদাহ থাকায় আশপাশের ভবনের নিচে অবস্থান করছেন অনেকেই।
সকাল ১০টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে এখন নাতে রাসুল সা. ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নেতাদের বক্তব্য চলছে। একের পর এক বক্তব্য রাখছেন অনেকেই। মঞ্চে আছেন হেফাজতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা ও খেলাফতের আমির মাওলানা ইসহাক, মাওলানা ইজহারুল ইসলাম, আব্দুর রব ইউসুফী, মওলানা মজিবুর রহমান, মওলানা আবুল কালাম বহু নেতা।
সমাবেশে উপস্থিত হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা ‘রাসূলের অপমান, সইবে না মুসলমান’, ‘ব্লগারদের ফাঁসি চাই, দিতে হবে’ ইত্যাদি বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা যায়। সমাবেশস্থলের মাইক দৈনিক বাংলা মোড়, উত্তরে আরামবাগ মোড়, দক্ষিণে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত বসানো হয়েছে। হেফাজতের সমাবেশকে ঘিরে মতিঝিলের ফুটপাতের চায়ের দোকান ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হেফাজতে ইসলামীর সঙ্গে এক সংঘর্ষে আওয়ামীলীগের এক নেতা নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মহাখালীতে গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও সহসভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। হরতালের সমর্থনে সমাবেশ চলাকালে এ হামলা চালানো হয়। তবে তারা দুজনই সুস্থ আছেন। তবে হামলায় পুলিশসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়।