দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নারী কি শুধুই অবলা? না, এখন আর নারী অবলা নয়। তারাও এখন পুরুষদের মতই সমাজে নানাভাবে ভূমিকা রাখছে। আর তাই জাতি তাদেরকে নিয়ে গর্বিত। এমন একজন সাহসী নারীকে পুলিশ বিভাগ থেকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। গতকাল ১৭ এপ্রিল পুলিশের মহাপরিদর্শক ঝরনা বেগমের হাতে স্বীকৃতি স্মারক ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন।
কে এই ঝরনা বেগম
বিউটি পারলারের সাধারণ কর্মী যে নারী তাঁর অসাধারণ সাহসিকতার জন্য আজ সারা দেশে তিনি এক পরিচিত মুখ। সামপ্রতিক সময়ে তিনি আলোচিত নারীতে পরিণত হয়েছেন।
গতকাল ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঝরনা বেগম তাঁর অনুভূতিটা তুলে ধরলেন এভাবে: ‘সংবর্ধনা বা পুরস্কার পাওয়ার আশায় আমি এ কাজ করিনি। আমি নারী হয়ে যে কাজ করেছি; মানবতার খাতিরে, বিবেকের তাগিদে তা সবারই করা উচিত।’
উল্লেখ্য, ১ এপ্রিল রাজশাহীতে হরতালের সময় জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের নির্মম হামলায় পুলিশের আহত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন ঝরনা বেগম। বিপদের ঝুঁকি নিয়ে তাঁকে রক্ষায় সহায়তা করায় পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে স্বীকৃতি স্মারক ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হলো। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) হাসান মাহমুদ খন্দকার ঝরনা বেগমের হাতে তা তুলে দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ঝরনার এ কাজ থেকে অন্যদের অনেক কিছু শেখার আছে।’
জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা হেলমেট ও ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়ার পর রাস্তায় পড়ে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলমকে উদ্ধার করতে কেও যাচ্ছিল না। এ সময় ঝরনা বেগম এগিয়ে গিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের মাথাটি নিজের ওড়না দিয়ে জড়িয়ে দেন। আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে পরম মমতায় আগলে রেখে অন্য কয়েকজনের সহায়তায় হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে, ইদানিং কেও বিপদে পড়লে এগিয়ে আসার নজির খুব একটা চোখে পড়ে না। তাই ঝরনা বেগমের বিষয়টি সকলেরই দৃষ্টিগোচর হয়। একজন মহিলা হয়েও সেদিন পুলিশের পাশে যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল তা সকলের জনই অনুকরণীয়।