দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন আশ্চর্যজনক ঘটনা আগে কখনও শোনা যায়নি। অর্ধেক মানবী, অর্ধেক শেয়াল! পাকিস্তানের করাচির চিড়িয়াখানায় মানুষের ভীড় লেগে থাকে মমতাজ বেগমকে দেখতে ও তার ভবিষ্যত বাণী শোনার জন্য।
করাচির ওই চিড়িয়াখানায় মানুষের ভিড় জমেই থাকে। এর একটিই কারণ আর তা হলো ওই অর্ধেক মানবী, অর্ধেক শেয়াল। সবাই চিড়িয়াখানায় আসেন বাঘ, সিংহ, হরিণ, হাতিসহ অনেক রকমের জীবজন্তু দেখতে। কিন্তু এবার চিড়িয়াখানায় মানুষ আসছে এমন একজনকে দেখতে! এই অর্ধেক মানুষ, অর্ধেক শেয়াল তার নাম মমতাজ বেগম। সত্যিকারের অর্ধেক মানবী, অর্ধেক শেয়াল না হলেও বছরের পর বছর ধরে তিনি দর্শকদের ভাগ্য গণনা করে এবং কৌতুক বলে আনন্দ দিয়ে যাচ্ছেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানী করাচির চিড়িয়াখানার বিশেষ ধরনের একটি বিছানা রয়েছে তার জন্য। চেহারা দেখেই তাদের ভূত-ভবিষ্যত বলে দিতে পারেন তিনি! ছাত্ররা আসে তাদের পরীক্ষার ফল জানতে, আর মায়েরা আসেন তাদের অবিবাহিত মেয়েদের সম্ভাব্য স্বামীর খোঁজে। এজন্য দর্শকদের অতিরিক্ত দিতে হয় মাত্র ১০ রুপি।
কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো তিনি সত্যিকারের অর্ধেক মানবী, অর্ধেক শেয়াল নন। তিনি হলেন- ৩৩ বছরের মুরাদ আলী। দুই সন্তানের এই জনক দিনের বেলায় বিশেষ পোশাক পরে ওই চিড়িয়াখানায় কাটান। চিড়িয়াখানায় তার নাম মমতাজ বেগম। সঙ্গে থাকে কয়েকজন সহকারী। এটি দিয়েই চলে তাদের সংসার।
চিড়িয়াখানায় সাধারণত নতুন নতুন প্রাণী এনে দর্শক আকৃষ্ট করার কাজ করা হয়ে থাকে। কিন্তু করাচি চিড়িয়াখানার এই উদ্যোগটি একেবারেই ভিন্ন। জানা যায়, ৪০ বছর আগে ‘শেয়াল-মানবী’র ভূমিকায় নেমেছিলেন মুরাদ আলীর বাবা। ১৬ বছর আগে তিনি মারা গেলে মুরাদ তার স্থলাভিষিক্ত হন। মমতাজ তথা মুরাদ আলী আগে সার্কাসে কাজ করতেন। যে কারণে মানুষকে পটানোর কিছু বিদ্যা সেখানেই তিনি অর্জন করেছিলেন। এখন সেটাই কাজে লাগাচ্ছেন এই চিড়িয়াখানায়।
দেখুন সেই ভিডিওটি
https://www.youtube.com/watch?v=mEQ6vMQG2Qc