দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি শেষ হয়ে গেলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেষ্ট সিরিজ। দুই ম্যাচের এই সিরিজে প্রথম ম্যাচে হেরে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দূর্দান্তভাবে ফিরে এসে ১৪৩ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। পাশাপাশি এই সিরিজে আলো ছড়িয়েছেন পেস বোলার রবিউল ইসলাম। ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখিয়েছে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার। সিরিজে বেশ কিছু অর্জন নিয়েই এই প্রতিবেদন।
● বাংলাদেশ তাদের টেষ্ট ক্রিকেটের ৪র্থ জয় পেয়েছে ৭৯ নম্বর টেস্টে এসে। ১৪৩ রানের ব্যবধানে এই জয়টি একই সাথে জিম্বাবুয়ের মাটিতে তাদের প্রথম টেষ্ট ম্যাচ জয়। বাংলাদেশ চারটি জয়ের ৩টি জয়ই পেয়েছে বিদেশের মাটিতে। এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সফরে ২ টি ম্যাচ জয় এবং ২০০৫ সালে নিজেদের মাটিতে প্রথম জয়টি পায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
● দ্বিতীয় টেষ্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬টি অর্ধশতক বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ। এর আগে মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫টি অর্ধশতক করেও বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিলো ৯ উইকেটে।
● বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে তিন ব্যাটসম্যান সাকিব-মুশফিক-নাসির। তিনজনই টানা দুই ইনিংসে অর্ধশতক পার করে টেষ্ট ক্রিকেটে রেকর্ড গড়েছেন। একই পজিশনে থেকে এর আগে আর কোনো মিডল অর্ডারই এই কীর্তি দেখাতে পারেনি।
● বাংলাদেশের পেস বোলার হিসেবে সর্বপ্রথম ১৫ উইকেট সংগ্রহ করার গৌরব অর্জন করলেন রবিউল ইসলাম। এর আগে এনামুল হক জুনিয়র জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে ১৮ উইকেট এবং মোহাম্মদ রফিক পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন। তবে তারা ছিলেন স্পিন বোলার।
● বাংলাদেশের হয়ে চমকপ্রদ বোলিং প্রদর্শন করেছেন অভিষিক্ত অল-রাউন্ডার জিয়াউর রহমান। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তার মিডিয়াম পেস বোলিং ৬৩ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয়। অভিষিক্ত পেস বোলার হিসেবে এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট। এর আগে মানজারুল ইসলাম রানা ২০০১ সালের বুলাওয়েতে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই পেস বোলার হিসেবে অভিষিক্ত ম্যাচে নিয়েছিলেন ৮১ রানে ৬ উইকেট।