দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুই দেশের দুই প্রান্তে রান্নাঘর আর শোবার ঘর। এমনই এক সীমান্ত ঘেষা এলাকার কাহিনী রয়েছে আজ এই প্রতিবেদনটিতে।
বিভিন্ন দেশে রয়েছে এমন কিছু উদ্ভট সীমান্ত যা শুনে আশ্চর্য হবেন যে কেও। সীমানা ভাগ করার সময় এই সামান্য জায়াগাটি একটু এদিক-ওদিক করে ভাগ করলে কিই বা ক্ষতি হতো? এমন প্রশ্ন আসতেই।
এমনই একটি গ্রামের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই গ্রামটি হলো ভারত এবং মায়ানমার সীমান্তের লংওয়া। এই এলাকার বাসিন্দারা দু’দেশের বাসিন্দাদের মধ্যেই জিনিসপত্র আদান-প্রদান করে থাকেন। ভারতীয় মুদ্রার অনুপাতে মায়ানমারের মুদ্রার মূল্য অনেক কম হওয়ার কারণেই গ্রামের একপাশে মায়ানমার, আর অপরপাশে রয়েছে ভারত। গ্রাম প্রধানের বাড়িটিও দু’দেশে ছড়িয়ে রয়েছে!
নাগাল্যান্ডের মন জেলার ভারত-মায়ানমার সীমান্তে এই গ্রামটির অবস্থান। সবথেকে মজার বিষয় হলো, এই গ্রামটির গ্রাম প্রধানের কুঁড়ে ঘরের মধ্যেদিয়েই মায়ানমার সীমান্তে প্রবেশ করতে হয়! গ্রামের প্রধানকে এখানে ‘অংঘ’ বলে সম্বোধন করা হয়ে থাকে।
গ্রাম প্রধানের বাড়ির রান্নাঘরটি রয়েছে মায়ানমারের মধ্যে। তার শোয়ার ঘরটি পড়েছে ভারতের মধ্যে। গ্রামের এই প্রধানের মোট ৬০ জন স্ত্রী! তিনি প্রকৃতপক্ষে কোনয়াক নামের আদিবাসী গোষ্ঠীর রাজা।
শুধু ভারতের এই গ্রাম নয়, মায়ানমারের ভিতরে থাকা ৭০টি গ্রামও তিনি শাসন করেন। শুধু গ্রামের প্রধানই নন, এই গ্রামের বাসিন্দা বেশ কিছু পরিবারেরই রান্নাঘর মায়ানমারে আর বাড়ির বাকি অংশ ভারতের লোংওয়া গ্রামের মধ্যে পড়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে থাকা একটি বিশেষ চুক্তির কারণে ১৬৪০ কিলোমিটার লম্বা ভারত-মায়ানমার সীমান্তের এই গ্রামের বাসিন্দা ভারতীয়রা মায়ানমারের ভিতরে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ও মায়ানমারের নাগরিকরা ভারতের ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই অবাধ যাতায়াতের সুযোগ রয়েছে।