দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কর্মস্থলে যাওয়া-আসার সময়ও কর্মঘণ্টা হিসেবে গণ্য করার এমন একটি ঘটনা যদি বাংলাদেশে ঘটতো তাহলে ঢাকার চাকরিজীবিরা সত্যিই খুশি হতেন।
বাড়ি হতে কর্মস্থলে যাওয়া-আসার জন্য যে সময়টুকু ব্যয় হয় সেটাকেও কর্মঘণ্টার মধ্যে গণ্য করতে হবে বলে এমন একটি রায় দিয়েছেন ইউরোপের একটি সর্বোচ্চ আদালত দ্য ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস (ইসিজে)।
ইসিজে রুল জারি করে বলেছে, যেসব কর্মীদের কোনো স্থায়ী অফিস নেই তাদেরকে কর্মস্থলে যাওয়া-আসার জন্য যে সময় ব্যয় হয় সে সময়টুকুর জন্যও মজুরি দিতে হবে। বর্তমানে যা তাদেরকে দেওয়া হয় না।
স্পেনের নিরাপত্তা কোম্পানি টাইকো সংশ্লিষ্ট একটি আইনি মামলাকে কেন্দ্র করে এই রুল জারি করেছে ইসিজে।
এতে বলা হয়েছে, ‘কর্মীদের তাদের বাড়ি হতে কর্মস্থলে যেতে ও আসতে যে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয় তারজন্য মূলত তাদের নিয়োগকর্তাদের আঞ্চলিক অফিস বিলুপ্তির সিদ্ধান্তই দায়ী। এর পেছনে কর্মীদের ব্যক্তিগত কোনো সিদ্ধান্ত কিংবা আকাঙ্খা দায়ী নয়।’
এই আদেশের কারণে এখন হতে কোম্পানিগুলো ইলেকট্রিশিয়ান, গ্যাস ফিটার, কেয়ার ওয়ার্কার ও সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভদেরকে তাদের কর্মস্থলে যাওয়া-আসার জন্য যে সময় ব্যয় হয় সেজন্য নির্ধারিত বেতনের অতিরিক্ত মজুরিও দিতে হবে।
দ্য ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস বলেছে, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওয়ার্কিং টাইম নির্দেশিকা অনুযায়ী কর্মীদের “সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা” নিশ্চিত করার জন্য এই আদেশ জারি করেছে।
উল্লেখ্য, সত্যিই যদি এমন একটি আইন বাংলাদেশে হতো তাহলে বিশেষ করে যানজটযুক্ত রাজধানী ঢাকার চাকুরিজীবিরা সত্যিই খুশি হতেন। কারণ যানজটের কারণে চাকরিজীবিদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। আট ঘণ্টার ডিউটি করতে গিয়ে আগে-পিছে আরও অন্তত ৪/৫ ঘণ্টা সময় জ্যামে পার করতে হয়!