দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পেয়েছে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ছবি ‘ছিটকিনি’। যোজনা প্রোডাকশনস এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন সাজেদুল আউয়াল।
পরিচালক সাজেদুল আউয়াল বলেছেন, ছবির কাহিনী শীতকালের। কয়েক বছর ধরে শীতকালে দীর্ঘ শুটিং করা হয়েছে। তিনি পঞ্চগড় রেলস্টেশনে ১৯৮৩ সালে গিয়েছিলেন। তখনই তিনি ছিটকিনির চিত্রনাট্যটি লেখেন। এক অর্থে এটি তাঁর আত্মজৈবনিক কাহিনী বলা যায়।
কাহিনীটি এমন: পঞ্চগড় রেলস্টেশনের কর্মচারী কফিলের যক্ষ্মা হয়। কফিলের জন্য পাথরশ্রমিক ময়মুনার এক চরমতম নীরব আত্মত্যাগের মানবিক ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ছিটকিনির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে।
সাজেদুল আউয়াল আরও বলেন, মৈমনসিংহ গীতিকার ‘মলুয়া’ পালায় মলুয়ার চরিত্রটি যেভাবে চিত্রিত হয়েছে, ছিটকিনিতে ময়মুনার চরিত্রটি ঠিক উল্টোভাবে চিত্রিত হয়েছে। তার মতে, চলচ্চিত্রে তিনি আসলে ‘উল্টোপালা’ রচনা করেছেন। ছবিটি পরিচালনার পাশাপাশি কাহিনী ও চিত্রনাট্যও লিখেছেন সাজেদুল আউয়াল।
‘ছিটকিনি’ ছবিটিতে অভিনয় করেছেন রুনা খান, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, আমিনুর রহমান মুকুল, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, রুবলী চৌধুরী, মুসতাগিসুর রহমান বাবু, জহিরুজ্জামান, বাউল রইসউদ্দীন সরকার, সরকার হায়দার, সাজাহান বাউল, মোস্তাক, শিশুশিল্পী আপন প্রমুখ। একটি অংশে ‘মলুয়া’ পালা পরিবেশন করেন কেন্দুয়ার পালাশিল্পী দিলু বয়াতি এবং তার দল।
পরিচালক সাজেদুল আউয়াল তারই দুই অকালপ্রয়াত বন্ধু চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ এবং চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীরকে চলচ্চিত্রটি উৎসর্গ করেছেন। তিনি বলেছেন, শীঘ্রই ছবিটির মুক্তির তারিখ জানানো হবে।