দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাত্র ২৮ বছর বয়সেই ‘বিলিয়নিয়ার’ সিইও হয়েছেন এমন এক নারীর গল্প রয়েছে আজ! এই অন্যরকম কোটিপতির নারী হলেন মালয়েশিয়ান।
এই মালয়েশিয়ান নারী মাত্র ২৮ বছর বয়সেই ‘বিলিয়নিয়ার’ নামের মুকুট মাথায় পরেছেন তিনি। তার জীবনের গল্প যেমন আমাদের উৎসাহী করে তোলে, ঠিক তেমনি তা হাজারও তরুণ মনে আশার সঞ্চারও করে।
এই সফল নারীর নাম ক্রিসিস ট্যান। তার মোট আর্থিক সম্পদ হলো ৮২০ মিলিয়ন হতে ১.৯ বিলিয়ন মালয়েশিয়ান রুপী! পেশায় ক্রিসিস হলেন একজন বিনিয়োগকারী। এটি ছাড়া আরেকটি পরিচয়ও রয়েছে তার, আর সেটি হলো ‘বেরজায়া টাইমস স্কয়ার, মালয়েশিয়ার সর্ববৃহৎ আন্তঃশহর শপিং মল। তার বাবার নাম ট্যান শ্রী ভিনসেন্ট ট্যান। শ্রী ভিনসেন্ট ট্যান বিরজায়া গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী অফিসার। এগারো ভাইবোনের মধ্যে ক্রিসিস হলেন সকলের বড়।
ক্রিসিস অবসরে বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করতেই বেশি পছন্দ করেন। যখন সেটা করেন না তখন তিনি পোর্টোফিনো বা ইতালীতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে তিনি ১৮ পদের খাবার উপভোগ করেন।
সম্প্রতি ক্রিসিসের বাগদান সম্পন্ন হয়েছে আরেকজন কোটিপতির পুত্র নাসিমউদ্দীনের সঙ্গে। নাসিমউদ্দীনের বাবা মালয়েশিয়ার খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠান নাজা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা।
একটি চাইনিজ পত্রিকা বলেছে, একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা অবস্থায় তাদের পরিচয় ঘটে। ক্রিসিস সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ইন্সটাগ্রামে’ বেশ জনপ্রিয় তার উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনের জন্য। ক্রিসিস প্রাইভেট জেট, হেলিকপ্টার, রোলস রয়েস গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো কিছুতেই ভ্রমণ করেন না। ক্রিসিসের পার্টিগুলো হয়ে থাকে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে, শপিং করেন তিনি বেভারলি হিলস থেকে। তবে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য প্রায়শই টোকিওতে ভ্রমণ করেন ক্রিসিস!
ইন্সটাগ্রামে ক্রিসিসের বায়োতে লেখা রয়েছে, ‘আমি পুরো পৃথিবী পরিভ্রমণ করতে চাই’। কথাটা কিন্তু সত্যি। তার কারণ হলো তিনি তার স্বপ্ন পূরণের পথেই হেঁটে চলেছেন। তিনি জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য ৩টি মন্ত্র অনুসরণ করেন:
১। নিজের শক্তি সম্পর্কে জানুন এবং সফলতার জন্য সেগুলো ব্যবহার করুন।
২। আপনার মূল্যবান সময়গুলো সব সময় সঠিক মানুষের জন্য বিনিয়োগ করুন।
৩। নতুন নতুন সম্ভাবনা উন্মুক্ত করার জন্য প্রচুর পরিমাণে ভ্রমণ করুন।