দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অর্থ কখন কার কাছে কিভাবে চলে আসে তা সত্যিই বলা মুশকিল। যেমন সহায় সম্বলহীন এক ভবঘুরে কুড়িয়ে পেলেন ৩ কোটি টাকা!
সহায় সম্বলহীন একজন মানুষ। যাকে বলা যায় ভবঘুরে। টাকা পয়সা না থাকায় ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ান এখানে-সেখানে। কখনওবা পরিচিত কাওকে পেলে হাত বাড়িয়ে দু’চারটে টাকা নেন নানা অজুহাত দেখিয়ে। এমনই একজন মানুষ হঠাৎ করে যদি কোটি কোটি টাকা পেয়ে যান তাহলে কি হবে?
ভাবছেন হেঁয়ালি! হেঁয়ালির মতো শোনালেও যদি কখনও কোনো গৃহহীন মানুষ রাতারাতি কুড়িয়ে পাওয়া টাকায় কোটিপতি হয়ে যায়, তাহলে কী একে বলা যেতে পারে জ্যাকপট?
সম্প্রতি প্যারিসের শার্লে দে গোল বিমানবন্দরে ইতিউতি ঘুরে বেরাচ্ছিলেন এক ভবঘুরে। কিছুক্ষণ এদিক ওদিক ঘোরার পর একটি বিদেশী মূদ্রা লেনদেন সংস্থার সামনে এসে দাঁড়ান তিনি। দরজা রয়েছে আধ-খোলা। অথচ কাউন্টারে কেও নেই। ব্যাপারটা কী! খোলা দরজা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখে তিনি বুঝে যান যে, খালি পড়ে রয়েছে অফিসটি। তবে টেবিলে পড়ে রয়েছে দু’টি ব্যাগ। সাবধানে এদিক-ওদিক তাকিয়ে দরজা ঠেলে ঢুকে পড়েন ওই ব্যক্তি। ব্যাগ খুলতেই তার চোখ কপালে ওঠে! কয়েক মুহূর্ত স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার পর দু’টি ব্যাগ হাতে নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে চলে যান তিনি।
ওই ব্যাগ দু’টিতে ছিল প্রায় ৩ লক্ষ ইউরো। যা বাংলাদেশী মূল্যে প্রায় ৩ কোটি টাকার সমান।
শার্লে দে গোল বিমানবন্দরের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করেছে। পুলিশ বলেছে, বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তি গৃহহীন এবং ভবঘুরে। তবে সে বিমানবন্দরে কী করে ঢুকলো বা অফিসের দরজা খোলা ছেড়ে ওই বিদেশী মূদ্রা লেনদেনের সংস্থাটির কর্মীরা গেলেন কী করে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টিকে ‘পারফেক্ট ক্রাইম’ বললেও পুলিশের দাবি, স্রেফ ভাগ্যের জোরেই এতো টাকা এক সঙ্গে তিনি পেয়ে গেছেন!