দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ গানের গায়ক উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী মান্না দে’র শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। শনিবার গভীর রাতে তাকে ব্যাঙ্গালোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন, তিনি কি আর পারবেন কফি হাউজে ফিরতে?
গত শনিবার মান্না দে পরিবারকে জানান তাঁর বুকে ব্যথা অনুভব করছেন এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে এর পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে রোববার সকালে ঐ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান “মান্না দে ফুসফুসে সংক্রমণ ও কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট বেশ কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।”
এক মাস আগে প্রয়াত স্ত্রীর স্মরণে নতুন একটি গান রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন মান্না দে। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে। সেসময় মান্না দে শারীরিক অসুস্থতার জন্য ১০ দিন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। পরে অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
মান্না দে’র জন্ম ১৯১৯ সালে। ১৯৪৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩,৫০০ এর উপর গান রেকর্ড করেছেন। ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ এর দশকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে বাংলা ও হিন্দি ছাড়াও মারাঠি, গুজরাটিসহ ভারতের বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এই শিল্পী। বিভিন্ন হিন্দি ও বাংলা চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি ওস্তাদ আমান আলি খান এবং ওস্তাদ আব্দুল রহমান খানের কাছ থেকে হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নেন।
মান্না দে’র গাওয়া বাংলা জনপ্রিয় গান গুলো হলঃ
- কফি হাউজের সেই আড্ডাটা
- আবার হবে তো দেখা
- এই কূলে আমি, আর ঐ কূলে তুমি
- তীর ভাঙা ঢেউ আর নীড় ভাঙা ঝড়
- যদি কাগজে লেখো নাম
- সে আমার ছোট বোন
সংগীতে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭১ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মবিভূষণ এবং ২০০৭ সালে দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি। রবীন্দ্রভারতী ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিলিট সম্মাননাও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
সুত্রঃ ইন্ডিয়া টাইমস