দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয়ে যাচ্ছে। ঝর্নাগুলো আস্তে আস্তে স্বরূপে আবির্ভূত হবে। আসন্ন বর্ষায় ঝর্নায় যাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নিন।যাদের ট্রেকিংয়ের অভ্যাস নেই তারা খৈয়াছড়া দিয়ে শুরু করতে পারেন।কারন এই ট্রেকিং তুলনামূলক সহজ।
খৈয়াছড়া ঝর্না (Khaiyachora waterfalls):
মিরসরাইয়ের (Mirsharai) পাহাড়ে অবস্থিত একটি জলপ্রপাত। মিরসরাই এর নয় স্টেপ এর ঝর্না বিস্ময়কর। খৈয়াছড়া – আকার আকৃতি ও গঠনশৈলির দিক দিয়ে এটা নিঃসন্দেহে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঝর্ণাগুলোর ১টি । এর মোট ৯ টি মুল ধাপ এবং অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন ধাপ প্রমান করে যে এমন আর একটা ঝর্ণাও বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। খৈয়াছড়াতে সব সময় আগুন জ্বলে (এমন কি বৃষ্টিতেও) এমন একটি পাহাড় আছে, সেখানে আগুন কখনও নিভে না। প্রকৃতির নান্দনিক তুলিতে আঁকা সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছে দেশের ভ্রমণপিয়াসী মানুষ। অনেকে রাতের বেলায় চাঁদের আলোয় ঝর্ণার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পাহাড়ের পাদদেশে তাবু টাঙ্গিয়ে অবস্থান করছেন। প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি সেতুবন্ধন করে, সবুজের চাদরে ঢাকা বনানী রূপের আগুন ঝরায়, যেখানে প্রকৃতি খেলা করে আপন মনে, ঝুম ঝুম শব্দে বয়ে চলা ঝর্ণাধারায় গা ভিজিয়ে মানুষ যান্ত্রিক জীবনের অবসাদ থেকে নিজেকে ধুয়ে সজীব করে তুলছে খৈয়াছরা ঝর্ণায়। অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন ধাপ, যা বাংলাদেশের আর কোন ঝর্ণাতে এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। তাই ‘খৈয়াছড়া’ কে বলা হয় বাংলাদেশের ‘ঝর্ণা রাণী’
যাবেন যেভাবেঃ
রাতের তূর্না ট্রেনে ফেনী চলে যান( ভাড়া শোভন চেয়ার -২৬৫,শোভন -২২০,সুলভ-১৩৫) মেইল ট্রেন-৯০ফেনী স্টেশন থেকে অটো করে মহিপাল বাস স্ট্যান্ড (ভাড়া ১০)মহিপাল থেকে চিটাগাং গামী লোকাল বাসে করে বড়তাকিয়া (ভাড়া ৪০,দামাদামি করে নিবেন) বড়তাকিয়া থেকে সিএনজি করে খৈয়াছড়ার ট্রেকিং যেখান থেকে শুরু সেই পর্যন্ত(ভাড়া জন প্রতি ২০) তারপর ট্রেকিং করে খৈয়াছড়া চলে যান 😀
মনে রাখবেন, ঝর্ণায় যাওয়ার রাস্তা বেশ দুর্গম এবং পাথরের যায়গা পিচ্ছিল থাকতে পারে। তাই সতর্ক হয়ে পথ চলবেন। মারাত্মক কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ওই দুর্গম রাস্তা পাড়ি দিয়ে ফিরে আসা অনেক কঠিন হবে। সেজন্য ভাল গ্রিপের ট্রেকিং জুতা আর বাঁশ অবশ্যই সাথে নিবেন।
বিঃদ্রঃ আপনার দ্বারা পরিবেশের যাতে কোনরকম ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।অপচনশীল কোন কিছু ফেলে প্রকৃতির কাছে নিজেকে অপরাধী করবেননা।