The Dhaka Times Desk দিন দিন হ্যাকাররা তৈরি করে নতুন কোন হ্যাকিং পদ্ধতি যার ধারাবাহিকায় ইন্টারনেট জগতের হ্যাকারদের নতুন আবিষ্কার হলো ‘হার্টব্লিড’। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সারা বিশ্বব্যাপী কয়েক কোটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারী নতুন হার্টব্লিড ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
গুগলের কর্মকর্তার বরাতে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ‘বিশ্বব্যাপী হার্টব্লিড ঝুঁকিতে আছেন অ্যান্ড্রয়েড ৪.১.১ জেলি বিন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা। ৪.১.১ জেলি বিন ব্যবহারকারীদের সঠিক সংখ্যা না জানালেও বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে অপারেটিং সিস্টেমটি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে এসব ডিভাইসের ব্যবহারকারীরা নিঃসন্দেহে সফটওয়্যারের বাগ ঝুঁকিতে রয়েছেন।’
Learn more: এন্ড্রয়েড স্মার্টফোনের জন্য ভয়ংকর হুমকি নিয়ে এলো ডেন্ড্রয়েড ভাইরাস!
মূলত ওপেন এসএসএল ব্যবহার করে যেসব মাধ্যমে ওয়েবসাইট চালিত হয় সে সব সাইটে বা প্রোগ্রামে এই হার্টব্লিড ঝুঁকি প্রবল। এদিকে বিভিন্ন নিরাপত্তা ফার্ম বলছে, এই ভাইরাস যে শুধু প্রোগ্রাম বা অপারেটিং সিস্টেমে সমস্যা করছে তাই নয় এই বাগটি এখন কেবল আর ওয়েবসাইট আক্রান্ত করেই বসে নেই, রাউটার, সুইচ , ফায়ারওয়ালেও তৈরি করছে সমস্যা।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হার্টব্লিড দুর্বলতার শিকার ভিকটিমের তালিকায় আছে মার্কিন গোয়েন্দাসংস্থা এফবিআইয়ের ওয়েবসাইটও। তবে গুগলের সংযোগ এখনও নিরাপদ বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এদিকে হার্টব্লিড বাগের কারণে বিপাকে পড়েছে ইন্টারনেটনির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও। হুমকির মুখে আছে সিসকো, জুপিটার, ফোর্টিনেট, রেড হ্যাট And ওয়াচগার্ড টেকনোলজিসের মতো প্রতিষ্ঠান।
এদিকে গুগলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে, তাদের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের মাঝে মাত্র ১০ শতাংশ এই হার্টব্লিড ঝুঁকিতে আছেন। তবে গুগল প্রকৃত হিসেব দেয়নি।
অপর দিকে গুগল ঝুঁকির আশঙ্কা উড়িয়ে দিলেও, বার্তাসংস্থা বিবিসি বলছে, হার্টব্লিড হুমকির ব্যাপ্তি এবং করণীয় নিয়ে মার্কিন সরকার তৃতীয়পক্ষীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে, এবং সরকারী সার্ভার নিরাপত্তা বিভাগের পক্ষ থেকে ইমেইল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য অনলাইন অ্যাসেটের উপর সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য সাধারণ ব্যবহারকারীদের পরামর্শ দিয়েছেন।
Thank you: Independent | The Huffington Post