The Dhaka Times Desk নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডার ঘটনার প্রধান আসামী নূর হোসেনের কথিত ‘বান্ধবী’ কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলাই সিদ্ধিরগঞ্জের জুয়েল হত্যার মূলহোতা। তদন্তকারী সংস্থা এমনটায় মনে করছেন।
নূর হোসেনের কথিত বান্ধবী কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলাকে গতকাল গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জুয়েল নামের ওই যুবক খুন হয় ৭ মাস আগে। কিন্তু নূর হোসেনের প্রভাবের কারণে এবং সংশ্লিষ্ট তখনকার পুলিশ কর্মকর্তার কারণে ওই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়। কিন্তু চাঞ্চল্যকর সেভেন মার্ডার ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনে রদবদল এবং জনরোশের কারণে এখন বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ওই যুবক খুনের ঘটনার ৭ মাস পর এখন বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জুয়েল হত্যাকাণ্ডের পেছনে সম্পৃক্ত রয়েছেন সেভেন মার্ডার মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের কথিত ‘বান্ধবী’ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা। গতকাল সোমবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে পুুলিশ।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, জুয়েল হত্যাকাণ্ডের পরও নীলার নাম উঠে আসে। কিন্তু সে সময় অজ্ঞাত কারণে পুলিশ এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ১ জন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আর সে কারণে তদন্ত করা পুলিশের একজন এসআইকে সে সময়ের এসপি ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন এবং পরদনিই ৩০ এপ্রিল এসআই ফজলুল হককে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানায় বদলি করা হয়।। খবর বাংলাদেশ নিউজ২৪
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে আরও জানা যায়, সোহাগ এবং মনা নামের ২ জনকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। ২৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মনা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।
জানা যায়, ওই জবানবন্দিতে মনা স্বীকার করেন যে, ইয়াবা এবং হেরোইন ব্যবসা চালানোর ৭০ লাখ টাকা লেনদেনে ঝামেলা হওয়ায় কাউন্সিলর নীলার সঙ্গে ১ লাখ টাকা চুক্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জের আইউব নগর আজিবপুর এলাকায় খুন করা হয় জুয়েলকে। কাউন্সিলর নীলার সঙ্গে ইয়াবা এবং হেরোইনের ব্যবসার ৭০ লাখ টাকা নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত জুয়েলের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জের ধরেই কাউন্সিলর নীলার সঙ্গে ১ লাখ টাকা চুক্তি করেন মনা, সোহেল ও সোহাগ।
মনা আদালতকে আরও জানান, এসময় নীলার মামাতো ভাই শাহ আলমও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আর জুয়েলকে জবাই করা হয়েছিল অহিদ কসাইয়ের গোয়াল ঘরে। ওই ঘরের ঠিক ১০ হাত দূর থেকেই জুয়েলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।
এদিকে নীলাকে গতকালই পুলিশ আদালতে হাজির করে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। পুলিশ আশা করছে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে এবং জুয়েল হত্যাকাণ্ডের সুরাহা হবে।