দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পর্ণস্টারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে বিশ্বজুড়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশেষে পর্ণস্টারের অভিযোগ মেনে নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প!
বিবিসি বাংলার এক খবরে বলা হয়েছে, পর্ণ তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে নিজের যৌন সম্পর্ক প্রকাশ না করার জন্য তাকে যে অর্থ দিয়েছিলেন অবশেষ সেটি স্বীকার করে নিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেইসঙ্গে আইনজীবীর হাতে কি পরিমাণ অর্থ দিয়েছিলেন তাও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের ওই খবরে আরও বলা হয়, দ্য অফিস অফ গভর্নমেন্ট এথিকস বলছে, মি: ট্রাম্পকে তার আর্থিক বিবরণীতে তা দিতে হয়েছে। এই সংক্রান্ত ফাইলে থাকা তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, তিনি আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে ২০১৬ সালের জন্য যে অর্থ দিয়েছিলেন তার পরিমাণ ১ লাখ থেকে আড়াই লাখ ডলারের মধ্যে হবে।
যদিও ইতিপূর্বে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।এখন ওই ফাইলে একটি ফুটনোট দিয়ে হোয়াইট হাউজ বলছে স্বচ্ছতার স্বার্থেই এটিকে তালিকায় রাখা হয়।
যদিও অফিস অফ গভর্নমেন্ট এথিকস এর প্রধান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে দেওয়া এক চিঠিতে লিখেছিলেন, কোহেনের মাধ্যমে যেসব অর্থ শোধ হয়েছে সেগুলোও জানাতে হবে।
স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে দেওয়া অর্থের বিষয়টি একটি আইনগত সমস্যা তৈরির করতে পারে, এমনটি আশঙ্কা ছিল। কারণ হলো এটিকে নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে একটি অবৈধ ব্যয় হিসেবে দেখা দিতো। কোহেনের এই সম্পর্কিত কাগজপত্র ইতিমধ্যেই এফবিআই জব্দ করেছে। বিষয়টি নিয়ে এখন তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।
পর্ণ তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস অভিযোগ করেছিলেন যে, ২০০৬ সালে একটি হোটেল কক্ষে ট্রাম্প তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, তার আইনজীবী মাইকেল কোহেন মিজ ড্যানিয়েলসকে ২০১৬ সালের নির্বাচনের পূর্বে কোনো অর্থ দিয়েছিলেন কি-না সেটি তার মোটেও জানা নেই।
আইনজীবীকে ট্রাম্পের টাকা দেওয়ার বিষয়টি প্রথম নিশ্চিত করেন প্রেসিডেন্টে অ্যাটর্নি রুডি গিলিয়ানি। তিনি বলেছিলেন, মিজ ড্যানিয়েলসকে চুপ রাখতে- যাতে তিনি অসত্য ও অতিরঞ্জিত অভিযোগ মিস্টার ট্রাম্পকে নিয়ে না করেন সেজন্যই ওই লেনদেন করা হয়।