দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে হেডফোন ব্যবহার করেন না এমন লোক বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। অনেকেরই চব্বিশ ঘণ্টা কানের মধ্যে থাকে হেডফোন। হেডফোন কেনার আগে কিছু বিষয় খেয়াল করা দরকার। আজ জেনে নিন সেগুলো।
বর্তমানে রাস্তা-ঘাটে সব খানেই দেখা যায় হেডফোন কানের মধ্যে ভরা! এই হেডফোন আমরা শুধুমাত্র গান শোনার জন্যই আমরা ব্যবহার করি না। ট্রেনে-বাসে পারিপার্শিক পরিস্থিতি হতে দূরে থাকতে আমাদের সবথেকে পছন্দের উপায় হলো হেডফোন। বাসের ভিড়ে মোবাইলটি হারানোর হাত থেকেও রক্ষা করে এই হেডফোন। আমরা প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন ধরনের আওয়াজ পছন্দ করি। আর তাই একই রকম হেডফোন দুটি আলাদা মানুষের পছন্দ নাও হতে পারে এক্ষেত্রে।
বাজারে হরেক রকমের হেডফোনের মধ্যে না শুনে কোন হেডফোনটি আপনার কাছে ভালো লাগবে তা বোঝা মুশকিল। তবে হেডফোন কেনার আগে কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এখন জেনে নিন সেই বিষয়গুলো।
যেমন হেডফোন আপনার দরকার
বর্তমানে বাজারে প্রধানত দুই ধরনের হেডফোন পাওয়া যায়। ফুল সাইজ হেডফোন এবং ইয়ার ফিটিং হেডফোন। যদি গান সোনা আপনার হেডফোন কেনার মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তবে আপনি কিনতে পারেন ফুল সাইজ বা ইন ইয়ার হেডফোন। ইন ইয়ার হেডফোনে বাইরের আওয়াজ কানে খুব কমই আসে। তাই নয়েজ ক্যান্সেলেশন যদি আপনার মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তবে আপনি দেখে নিতে পারেন ইন ইয়ার হেডফোনটি।
ইম্পিডেন্স হেডফোন
হেডফোন যে প্লেয়ার হতে চলছে সেই প্লেয়ার হতেই ইলেক্ট্রিক কারেন্টের মাধ্যমে চলে। অবশ্যই হেডফোনের পাওয়ার সোর্স প্লেয়ার। ইম্পিডেন্স হলো এই ইলেক্টিক কারেন্টের রেসিস্ট্যান্টের পরিমাপ। অর্থাৎ ইম্পিডেন্স ভ্যালু যদি কম হয়, তাহলে বেশি জোরে আওয়াজ শোনা যাবে সেই হেডফোনটিতে। যদিও মাথায় রাখা প্রয়োজন হাই ইম্পিডেন্স হেডফোনের নিজস্ব সুবিধাও রয়েছে। এই হেডফোনে জোরে আওয়াজ দিলেও আওয়াজ ফেটে যাওয়ার সুযোগ অনেক কম। প্রফেশানাল অডিও মিক্সিং এর জন্য হাই ইম্পিডেন্স হেডফোনই বেশি ভালো।
ম্যাগনেট টাইপ হেডফোন
হেডফোনে ফেরিট ও নিওডিমিয়াম প্রধাণত এই দুই ধরনের ম্যাগনেট ব্যবহার হয়। চেষ্টা করুন নিওডিমিয়াম ম্যাগনেটের হেডফোন কেনার জন্য। এটিতে একই চুম্বকত্ব থাকলেও নিওডিনিয়াম ম্যাগনেটের ওজন ফেরিটের হতে অনেকটাই কম হয়। যে কারণে অনেকটাই কমে যাবে আপনার হেডফোনের ওজন।
ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ হেডফোন
হেডফোন কেনার আগে আপনার কানের কথাটিও খেয়াল রাখতে হবে। বেশি বেশি হেডফোন ব্যবহারের কারণে আপনার কানের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সাধারণত মানুষ ২০ হার্জ হতে ২০০০ হার্জ পর্যন্ত তরং দৈর্ঘ্যের আওয়াজ শুনতে পারে। আপনি যদি হেডফোনে খুব বেশি বেস চান তবে এমন হেডফোন খুঁজুন যার ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জের নিচের লিমিট অনেক কম। ২০০০০ হার্জের বেশি ফ্রিকোয়েন্সির হেডফোন কেনার কোনো কারণই নেই। কারণ হলো মানুষ সেই তরং দৈর্ঘ্যের আওয়াজ শুনতেই পায় না।
আরও একটি বিষয় হলো হেডফোন কেনার সময় বাক্সের গায়ে বা অনলাইনে স্পেসিফিকেশনে উপরোক্ত তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন। পরের বার আপনি যখন হেডফোন কিনবেন তখন অবশ্যই এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন যাতে ভালো মানের হেডফোন আপনি ব্যবহার করতে পারেন।