দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৮ রাজা আর ১৮ শাসকের শাসনকাল পার করেছে কচ্ছপ জোনাথন! এই বয়সেও দিব্যি চলাফেরা করে জোনাথন, শুধু চোখে দেখছে কম। জোনাথনের বয়স বর্তমানে ১৮৬ বছর!
একটি কাছিম এতো বছর বেঁচে থাকতে পারে তা ভাবাই যায় না। এতো বয়সী জোনাথন নামে এই কচ্ছপ এখনও দিব্যি চলাফেরা করছে , শুধু চোখে কম দেখছে সে। গন্ধ বোঝার গ্রন্থিও নষ্ট হয়েছে তার। সেন্ট হেলেনা আইল্যান্ডে সে এসেছিল ১৮৮২ সালে। এই দ্বীপটিতেই নির্বাসিত করা হয় নেপোলিয়ন বোনাপোর্টকে।
গভর্নর স্যার স্পেন্সার ডেভিস এই কচ্ছপটির নাম রেখেছিলেন জোনাথন। আগমনের ৪৮ বছর পর এই নাম পায় জোনাথন। জোনাথনের বয়স বর্তমানে ১৮৬ বছর! জোনাথন এই পৃথিবীর স্থলে বিচরণ করছে এমন প্রাণীদের মধ্যে জানামতে সবচেয়ে বয়স্ক প্রাণী!
এটা চাট্টেখানি কথা নয়। কচ্ছপ এমনিতেই দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে। তবে এই মুহূর্তে এই পৃথিবীর স্থলে বিচরণকারী সবচেয়ে বয়স্ক প্রাণী এই জায়ান্ট কচ্ছপটিকে দেখা সত্যিই বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা বটে! তার বয়স যে ১৮৬ বছর তা প্রমাণ করতে রীতিমতো কাগজপত্রও রয়েছে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সেন্ট হেলেনাতে নেপোলিয়নকে নির্বাসিত করা হয় ১৮১৫ সালে। তিনি সেখানে মারা যান ১৮২১ সালে। এর ঠিক ৬১ বছর পর দ্বীপটিতে আসে এই বয়োজ্যেষ্ঠ জোনাথন।
জানা গেছে, জোনাথন ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ ইতিহাসের ১৮ জন শাসক ও ৮ জন রাজার সময় পার করেছে। তাদের সময়কাল পার করে বেঁচে রয়েছে জোনাথন। প্রাণী চিকিৎসকরা ১৯৯১ সালে জোনাথনের সঙ্গিনী দরকার বলে মনে করেন। তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় ফ্রেডেরিকার সঙ্গে। হায় কপাল! ৩০ বছর পর জানা যায় ফ্রেডেরিকা নামে কাছিমটি স্ত্রী প্রজাতির নয়। সে পুরুষ প্রজাতির কচ্ছপ! পরে নাম পাল্টে ফ্রেডেরিক রাখা হয়।
বর্তমানে কচ্ছপ জোনাথনের বয়স হয়েছে অনেক। জোনাথনের চোখে ছানি পড়েছে। সে গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতাও হারিয়েছে। তবে জোনাথনকে সবাই অনেক ভালোবাসে। তার মৃত্যুর কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জোনাথনের মৃত্যুর পর স্মৃতি ধরে রাখা হবে। প্রজন্মের চিহ্নস্বরূপ তার খোলসটাও সংরক্ষিত করা হবে বা মোমি করে রাখা হবে হাজার হাজার বছর ধরে।