দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা নিজেদের অজান্তে বা জানার পরও প্রতিনিয়ত এমন অনেক কাজ করি বা কথা বলি যার কারণে আমাদের ইমান নষ্ট হয়ে যায়। কারণ এমন কিছু কথা বা কাজ রয়েছে যা শিরক বা কুফরীর শামিল। তাহলে চলুন জেনে রাখি সেই কাজ বা কথাগুলো কী।
১। আল্লাহর সাথে অন্য কাওকে শরিক করা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বর্তমানে অনেকেই বলেন পৃথিবীতে ২য় গড হল টাকা এমন কথাগুলোই হল আল্লাহর সাথে অন্য কিছুকে শরিক করা বুঝায়।
২। অন্য ধর্মের একাধিক প্রভূ বা দেবতাদের উপর বিশ্বাস রাখা বা তারা আছে বলে মনে করা। অনেকেই মনে করেন, দূর্গা, কালি ইত্যাদি দেবতা হয়তো আছে।
৩। আল্লাহ এবং তার রাসুলের কোন আইন-কানুনকে অবিশ্বাস করা বা এটা আসলে ঠিক নয় এমন মনে করা। যেমন ইসলামে রয়েছে তিন তালাক দেওয়ার পর সেই স্ত্রীকে পূনরায় গ্রহণ করতে হলে অন্য কোন ব্যক্তির সাথে সেই নারীকে বিয়ে দিতে হবে। তারপর সেই ব্যক্তি ওই নারীকে তালাক দিলে তবেই তার আগের স্বামী তাকে আবার বিয়ে করতে পারবে। অনেকেই আল্লাহর এই আইনটা মেনে নিতে চাই না। তারা বলেন এইটা আসলে ঠিক নয়। এমন মনে করলে আপনার সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে যাবে।
৪। আল্লাহ, তার নবী- রাসুল, ফেরেস্তা, কেয়ামত এবং আখিরাতের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা। কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যারা বিশ্বাস করতে পারেন না যে মৃত্যুর পর তাকে হিসাব-নিকাশের সম্মুক্ষিণ হতে হবে। তারা মনে করেন মানুষ মরে গেলে আর তার কোন হিসাব নেই। এমন ধারণা পোষণ করা উচিৎ নয়।
৫। অন্য ধর্মের কোন অনুষ্ঠান দেখে আফসোস করা। যেমন পূজা, বড়দিন, আমরা অনেকেই আছি যারা মনে করি হলি উৎসব, রাখি বন্ধন ইত্যাদিতে হিন্দুরা কত মজা করে। আমাদেরও যদি এগুলো পালন করার অনুমতি থাকতো! এমন ইচ্ছা পোষণ করা উচিৎ নয়। তাহলে ইমান নষ্ট হয়ে যায়।
৬। আল্লাহ ছাড়া কোন নবী, পীর, বা কোন ব্যক্তির দরবারে কোন মান্নত করা বা তাদের কাছে কোন কিছু চাওয়া। যেমন অনেকেই বলে থাকেন আমার যদি এটা বা সেটা হয় অথবা এই রোগ থেকে মুক্তি পায় তাহলে অমুক বাবার দরবারে ইত্যাদি ইত্যাদি দান করবো। এমন কাজ করায় হল শিরক।
৭। আজ তুমি না থাকলে আমার কি বিপদ যে হত, এমন কথা বলা। বরং বলবেন আল্লাহ আজ তোমার মাধ্যমে আমাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন। মনে রাখবেন আল্লাহ ছাড়া বিপদ থেকে রক্ষা করার কেউ নেই। তিনি কেবল বিভিন্ন ব্যক্তি বা বিভিন্ন জিনিসের উছিলায় আমাদেরকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
তাই আমাদের উচিৎ এই জাতীয় কথা বা কাজ না করা। এবং ভুলে এমন কিছু করে বা বলে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কাছে তওবা করে ক্ষমা চাওয়া এবং বেশি বেশি কালেমা পাঠ করা।