দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, হিন্দুদের ভালোবাসুন তাতে কোনো বাধা নেই তবে মুসলিমদের প্রতি এতো ঘৃণা কেনো?
আনন্দবাজারের এক খবরে বলা হয়েছে, ভারতের আগামী ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর ঘৃণার রাজনীতি ও গণপিটুনির জামানা শেষ হবে। সেই কাজে নেতৃত্ব দিতে চান পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। শনিবার সকালে রেড রোডে ঈদের নামাজে এই বার্তাই দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মমতার কথা হলো, ২০১৯ সালে গণপিটুনি এবং ঘৃণাকে খতম করবো। ২০১৯ সালে এসব ফিনিশ হবে। মমতার শ্লোগান হলো ফিনিশ করো, এগিয়ে চলো।
মুসলমানদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, আমি আপনাদের সঙ্গে সব সময় আছি। আপনারা ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকবো। সংখ্যালঘু সমাজের পাশে দাঁড়ানোর কারণে তাকে যে প্রায়ই আক্রমণের শিকার হতে হয়- এদিন স্বীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেসব আক্রমণকে তোয়াক্কা না করেই তিনি যে রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজের ‘ত্রাতা’ হিসেবেই থাকবেন তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন।
মমতার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে মমতা বলেন, আমাকে কখনও কখনও গালিও দেয় আমি মুসলিমদের ভালোবাসি তাই। আমি বলি আপনারা হিন্দুদের ভালোবাসুন তবে মুসলিমদের ঘৃণা কেনো?
ঈদের দিন নীতি আয়োগের বৈঠক ডাকাকে কেন্দ্র করে যে বিবাদ হয়, তা নিয়ে এদিন মুখ খুলেছেন মমতা। ঈদের জন্যই যে তিনি ওই বৈঠকে যেতে অসম্মত হয়েছিলেন, তা জানিয়ে বলেন, ঈদের দিনে বৈঠক ঠিক হয়েছিল। আমি চিঠি দিয়ে দিন বদলাতে বলেছিলাম। বলেছিলাম ঈদের দিনে যেতে পারবো না। দিন বদলে নীতি আয়োগের বৈঠক রবিবার হওয়ায় আজ বিকেলেই তিনি যে দিল্লি যাচ্ছেন, সেটিও জানিয়েছেন।
তিনি এই রাজ্যে সম্প্রীতি রক্ষায় সচেষ্ট, তা বোঝাতে মমতা বলেছেন, সবার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শিখিয়েছেন আমাদের মা-বাবা। ভালোবাসার এই হিন্দুস্থান আমাদেরই স্বপ্ন। তবে সংখ্যালঘুদের সতর্ক করে বলেছেন, আপনারা ভালো থাকুন। কেও প্ররোচনা দিলে আমায় বলুন, আমার জন্য ইশারাই যথেষ্ট। এতো ভয়ের কিছুই নেই। আমি আছি, দেখি জোর কার বেশি।