দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মৃত দুই শিশু ভাইবোনের প্রাণ ফেরাতে এক ওঝা মহা কাণ্ড ঘটালেন! দীর্ঘ ৪/৫ ঘণ্টার প্রচেষ্টার পরও মৃত শিশু দু’টির প্রাণ ফেরাতে সক্ষম হননি ওই ওঝা।
যুগে যুগে কুসংস্কার মানুষকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। এখনকার এই আধুনিক যুগেও অনেকেই কুসংস্কারকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এখনও মানুষকে গ্রাস করে রেখেছে কুসংস্কার- তারই প্রমাণিত মিললো ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জীবনতলা থানার অন্তর্গত মটেরদিঘি গ্রামে। মারা যাওয়ার পর পর দুটি শিশুর পরিবারের লোকেরা সন্তানদের দেহে প্রাণের সঞ্চারের জন্য ওঝার দ্বারস্থ হলেন। মৃত শিশু দু’টির নাম- নমিতা গাইন (৫) এবং পুষ্পেন গাইন(৫)। এই শিশু দুটি সম্পর্কে ভাইবোন।
ঘটনার দিন সকালে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় এই শিশু দুটি। দীর্ঘক্ষণ তাদের খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশের পুকুরে তাদের দেহ ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয়বাসীরা। তড়িঘড়ি করে শিশু দু’টিকে উদ্ধার করে স্থানীয় মটেরদিঘি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা ওই দুই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা দেন। তবে চিকিৎসকদের সেই কথায় বিশ্বাস না করে পরিবারের লোকরা সন্তানদের দেহে প্রাণের সঞ্চারের জন্য স্থানীয় এক ওঝার দ্বারস্থ হলেন।
তারপর শুরু হলো ওঝার কেরামতি। মৃত শিশু দু’টিকে ফের গলা পর্যন্ত পানিতে ডুবিয়ে রেখে চললো মন্ত্রপাঠ ও তুকতাকসহ নানা কার্যকলাপ। সেইসঙ্গে চললো জল বাঁধা, জলে কামান দাগা-সহ আরও নানা কীর্তি কলাপ! ওঝার এই সমস্ত কারসাজি দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করলো সেখানে। তবে দীর্ঘ ৪/৫ ঘণ্টার প্রচেষ্টার পরও মৃত শিশু দু’টির প্রাণ ফেরাতে পারেনি ওই ওঝা। বিষয়টি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।