দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণিদের বসবাসযোগ্য বায়ুমন্ডলে ঘেরা এই পৃথিবীতে রয়েছে নানা প্রাণির বিচরণ। কিছু কিছু প্রাণির আবার রয়েছে বিচিত্র কিছু ক্ষমতা। আজ আমরা এমন কিছু প্রাণির বিচিত্র ক্ষমতা সম্পর্কে জানবো।
লাল পিঁপড়াঃ লাল পিঁপড়াকে আমরা সবাই চিনি। এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যাবে যে লাল পিঁপড়ার কামড় খাইনি। একে আবার বিষ পিঁপড়াও বলা হয়। এদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট রয়েছে। একটি পিঁপড়া সহজেই পানিতে ডুবে যেতে পারে। তবে এরা দলবদ্ধ হয়ে পানিতে অনায়াসে ভেসে থাকতে পারে। বন্যা, জলোচ্ছ্বাস বা যে কোন কারণে তাদের ঘর বাড়ি ভেসে গেলে তারা খুব দ্রুত একে অপরের সাথে তাদের পা দিয়ে একটি জালের মতো অবস্থান তৈরী করে। যাতে করে কেউই ডুবে মারা যায় না। এমনকি সবার নিচে যে পিঁপড়াটি থাকে তারও কোন সমস্যা হয় না।
হামিং বার্ডঃ সবচেয়ে ছোট পাখি হামিং বার্ডের ওজন এক টাকার কয়েনের মত। কিন্তু এরা কখনো হাটেনা। সত্যি বলতে তাদের পায়ের গঠন এত দুর্বল যে তারা হাটতে পারেনা। আরেকটি বিশেষ ক্ষমতা হলো এরা পিছন দিকে উড়তে পারে, যেটি আর কোন পাখি পারে না।
জোনাকিঃ রাতের অন্ধকারে জোনাকির আলো আমাদের মনকে আনন্দিত করে। কিন্তু রাতের বেলা আলো জ্বালাতে গিয়ে জোনাকির শরীরের মোট শক্তির শতকরা ৯৫ ভাগই খরচ হয়।
মশাঃ মশা সবার কাছে অপছন্দের একটি কীট হলেও এদের গুণগুণ শব্দের গান কিন্তু সবার পছন্দ। কানের কাছে মশা যে গুনগুন করে গান গায় সেজন্য মশার মুখে কোন শব্দ হয় না। এটি তার ডানায় হয়। কারন মশা উড়ার সময় প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ বার ডানা ঝাপটায়!
সরীসৃপ প্রাণিঃ সরীসৃপ এর ডিম ফুটে ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা কিন্তু তার ক্রোমজোম এর উপর নির্ভর করে না।এটি নির্ধারিত হয় বাসার তাপমাত্রার উপর।বাসার তাপমাত্রা যদি ৯০-৯৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হয় তবে সেটি একটি ছেলে বাচ্চা হবে আর বাসার তাপমাত্রা যদি ৮২-৮৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হয় তবে সেই ডিম ফুটে মেয়ে বাচ্চা হবে।
সৈনিক পিঁপড়াঃ এই নামের এক ধরনের পিপড়ার মধ্যে এক জটিল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই পিঁপড়া সব সময় দলগতভাবে বসবাস করে। এবং কোন এক সময় শত্রুর আক্রমনে নামলে পিছ পা হয় না। বলতে পারেন কিছুটা হিটলারের সৈনিকদের মত। ভুল বশত দলনেতা যদি বৃত্তাকার পথে অতিক্রম করে তাহলেই বিপর্যয় দেখা দেয়। প্রত্যেকে তার আগের জনকে অনুসরণ করতে গিয়ে তারা বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকে এবং ক্লান্তি এসে যায় তবুও পথ চলা বন্ধ করে না। এভাবে দলনেতাকে অনুসরণ করতে গিয়ে বৃত্তাকার পথে ঘুরতে ঘুরতে হাজার হাজার পিপড়া মারা যায়।
হাঙ্গরঃ প্রাকৃতিক ভাবেই এক দক্ষ শিকারী হাঙ্গর। এর মস্তিস্কে বিশেষ কিছু কোষ রয়েছে, যা অন্য প্রানীদের শরীর থেকে তৈরি হওয়া ইলেক্ট্রিক ফিল্ড সনাক্ত করতে পারে। তাই সমুদ্রের তলদেশে বালির নিচে লুকিয়ে থাকা ছোট একটি মাছও হাঙ্গরের কাছ থেকে লুকিয়ে থাকতে পারে না।
অক্টোপাসঃ অক্টোপাস বরাবরই মানুষের কাছে একটি রহস্যময় প্রানী। আমরা যদিও জানি এদের ৮টি পা রয়েছে, তবে এগুলো আসলে বাহু। আত্নরক্ষার জন্য এরা শরীরের রঙ বদল করে ফেলতে পারে। পালিয়ে যাওয়ার সময় দেহ থেকে এক ধরনের কালি ছুঁড়ে মারে যা পানিকে অন্ধকার করে দেয় যার ফলে অন্য প্রাণি তাকে খুজে পাওয়ার আগেই সে পালিয়ে যেতে পারে।
প্রজাপতিঃ পৃথিবীর সুন্দর এবং দেখে মন জুড়িয়ে যায় এমন প্রাণি পতঙ্গ হল প্রজাপতি। প্রজাপতি পা দিয়ে স্বাদ গ্রহন করে। স্ত্রী প্রজাপতি ফুলের বিভিন্ন গাছে বসে এবং পা দিয়ে পাতার উপরে ঘষে। যার ফলে উদ্ভিদ হতে রস নিসৃত হয়। প্রজাপ্তির পায়ের পিছনে chemoreceptor নামক এহ প্রকার সংবেদী অঙ্গ থাকে যার মাধ্যমে এরা স্বাদ বুঝতে পারে।