দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফার্নান্দো দে নরোনহা ব্রাজিলের একটি অন্যতম দ্বীপ। এমনকি জীব বৈচিত্রের কারণে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রয়েছে দ্বীপটি। তবে আজব বিষয় হল এই দ্বীপে আইনগত ভাবে সন্তান প্রসব নিসিদ্ধ। কিন্তু কেন এমন আইন জারি করা হয়েছে?
প্রাকৃতিক ঐসর্যমন্ডিত পরিবেশ এবং চারিদিকে লোনা পানিতে ঘেরা এই ছোট্ট দ্বীপে রয়েছে প্রায় ৩০০০ মানুষের বসবাস। দ্বীপবাসীদের সেবা দেওয়ার জন্য এখানে রয়েছে মাত্র একটি হাসপাতাল। একটি হাসপাতালে সর্বপ্রথম প্রসুতি মায়েদের সেবাদান বিভাগ থাকা উচিৎ। তবে সেই হাসপাতালে সন্তান প্রসবের জন্য কোন বিভাগ নেই।
তাই সন্তান জন্মদানে মা এবং শিশুর যেন কোন ক্ষতি না হয়, সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই কর্তৃপক্ষ সেখানে সন্তান জন্মদানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এবং গর্ভবতী মায়েদের সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য আগে থেকেই দ্বীপের বাইরে কোন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আদেশ জারি করা রয়েছে।
দীর্ঘ ১২ বছর দ্বীপের বাসিন্দারা এই আইন মেনে আসছে। তবে চলতি বছরে ঘটেছে এক অঘটন। একটি ২২ বছর বয়সী নারী আইন অমান্য করে ওই দ্বীপে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছে। ওই নারী এবং তার স্বামীর বক্তব্য মতে, তারা জানতো না সে গর্ভবতী। হঠাৎ পেটব্যাথা শুরু হলে সে টয়লেটে যায় এবং সে বুঝতে পারে কিছু একটি বের হচ্ছে। তখন তার স্বামীর সহায়তায় তিনি একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন।
তবে আইন অমান্য করার দায়ে কর্তৃপক্ষ এবং এলাকাবাসী তাদের উপর কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে নি। বরং দ্বীপবাসীরা নানা উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে তাদেরকে নানা ভাবে সহায়তা করেছেন।