দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ৬ জুলাই ২০১৮ খৃস্টাব্দ, ২২ আষাঢ় ১৪২৫ বঙ্গাব্দ, ২১ শওয়াল ১৪৩৯ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
জাপানে লক্ষাধিক মুসলমানের বসবাস। তন্মধ্যে ১০ শতাংশ মূল জাপানি বংশোদ্ভূত মুসলিম। জাপানে ইসলামের ইতিহাসও নতুন নয়। চায়নিজ ও ব্রিটিশ লেখকদের বই হতে ইসলাম সম্পর্কে তাদের জানাশোনা।
১৮৮৬ এর দিকে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে মূলত জাপানের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বস্তুত সে সময় তুরস্ক একটি জাহাজ প্রেরণ করে জাপান অভিমুখে। ফেরার পথে জাপানের কাছেই জাহাজটি ডুবে যায়। তখন বেঁচে যাওয়া লোকদের উদ্ধার করে জাপান তাদের তুরস্কে ফেরত পাঠাবার ব্যবস্থা করেছিল। এভাবে মুসলমানদের সঙ্গে জাপানের সম্পৃক্ততা ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে থাকে।
মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেখানে ইসলাম ছড়িয়ে যেতে শুরু করে। যুদ্ধ চলাকালীন জাপানি সৈন্যবাহিনী বিভিন্ন মুসলিম দেশে অবস্থান করছিল; তখন তারা সেখানে ইসলামের সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে ইসলাম গ্রহণে আগ্রহী হয়। বস্তুত ওমর বোকেনা নামের জনৈক সেনাপ্রধান জাপান ফিরে ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন। তারপর হতে ইসলাম গ্রহণকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই থাকে। আবার চায়নিজ মুসলিমদের জাপানে হিজরত করাও ওই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারে অনেক ভূমিকা রেখেছে।
জাপানে প্রতিষ্ঠিত সর্বপ্রথম মসজিদটির রয়েছে এক দুর্লভ গল্প। এটি ‘কোবে মসজিদ’ নামে অধিক পরিচিত। মূলত এই মসজিদটি কোবে শহরে অবস্থিত। কোবে জাপানের ষষ্ঠ বৃহত্তম নগরী হিসেবে খ্যাত। এটি হনশো দ্বীপের দক্ষিণদিকে এবং অকাসা শহর হতে ৩০ কিলোমিটার উত্তর দিকে অবস্থিত ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহ্যময় একটি নগরী।
জাপানে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের মুসলমান, বিশেষত ভারতীয় ক’জন নিষ্ঠাবান ব্যবসায়ীর প্রচেষ্টা ও অর্থায়নে এ কোবে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। মসজিদ নির্মাণের লক্ষ্যে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ হতে অর্থ সংগ্রহ শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে এর কাজও চলতে থাকে। অবশেষে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। তুরস্কের নির্মাণকৌশল অবলম্বনে নির্মিত মসজদটি একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যে পরিণত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: http://www.alokitobangladesh.com এর সৌজন্যে।