দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিটি বাবা-মা চায় তার সন্তানকে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন এবং উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে। তাই সব পিতা-মাতা তাদের সন্তানদের লালন-পালনে একটু বেশিই সতর্ক থাকেন। বাচ্চাদের মন বা মস্তিস্ক হল সাদা কাগজের মত। সাদা কাগজে যাই লিখেন না কেন তা স্পষ্ট দেখা যায় এবং সহজে মুছে ফেলা যায় না। বাচ্চাদের মস্তিস্ক ও ঠিক তেমনি।
বাচ্চাদের সামনে বা ওদের সাথে যে আচরণ করবেন তা ওদের মস্তিষ্কের সাদা পেজে লেখা হয়ে যায়। তাই বাচ্চাদের সাথে এমন কোন কথা বলা বা এমন কোন আচরণ করবেন না যা বাচ্চাদের মনকে খারাপ বা ব্যর্থতার দিকে ধাবিত করে। আজ আমরা জানবো এমন ৫টি বিষয় বাচ্চাদের কখনই বলবেন না যা ওদের মনকে খারাপ বা ব্যর্থতার দিকে ধাবিত করে।
১। থামো নইলে মারবো কিন্তুঃ
এমন কথা বললে বাচ্চারা আরো জেদি হয়ে ওঠে। ফলে সেই কাজ আরো বেশি বেশি করতে শুরু করে। এভাবে না বলে তাকে আদরের সাথে বুঝিয়ে বলুন। তাহলে সে বুঝতে পারবে এবং পরবর্তীতে সেই কাজ আর করবে না।
২। তোমাকে জন্ম দেওয়ায় উচিৎ হয় নিঃ
ভুলেও আপনার সন্তানকে এই কথাটি বলবেন না। রাগ করে হোক অথবা অন্য যে কোন কারণেই হোক না কেন। এমন কথা বললে আপনার সন্তানের নিজের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হয়। ফলে পরবর্তীতে বিভিন্ন খারাপ কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। এই কথা গুলো তার মস্তিষ্কে আজীবন রয়ে যায়।
৩। আমাকে একা থাকতে দাওঃ
বাচ্চারা সর্বদা বাবা-মায়ের কাছে থাকতে ভালবাসে। আপনি যদি আপনার সন্তানকে বলেন আমাকে একা থাকতে দাও, তাহলে সে মনে অনেক কষ্ট পায়। নিজেকে আপনার কাছে অপরাধী মনে করে। ফলে তার মনের উপর বিরুপ চাপের সৃষ্টি হয়। এটা ঠিক মাঝে মাঝে কিছু সময়ের জন্য নিজেকে একা রাখতে হয়। তাই বাচ্চাদের সরাসরি না বলে অন্য উপায়ে বিষয়টা সমাধান করে নিবেন।
৪। তোমাকে দিয়ে কোন কিছুই হবে নাঃ
বাচ্চারা ভুল করবে এটায় স্বাভাবিক। তাই বলে কখনই তাদেরকে বলবেন না যে, তোমাকে দিয়ে কোন কিছুই হবে না। তাহলে তারা নিজেকে অপদার্থ মনে করবে। সে নিজে ভাববে সত্যই হয়তো তাকে দিয়ে কিছু হবে না। ভুলেও এমন কথা তাদের বলবেন না। বরং তাদের উৎসাহিত করুন। কোন কাজে ব্যর্থ হলে তাদের অনুপ্ররণা দিয়ে পুরো উদ্যোমে সেই কাজ আবার করার জন্য মটিভেট করুন।
৫। তুমি খুব শুকনো/মোটাঃ
বাচ্চাদেরকে কখনই তার স্বাস্থ নিয়ে এমন মন্তব্য করবেন না। তাহলে ওরা নিজেদেরকে অসুন্দর ভাবে এবং নিজের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হয়। কিভাবে সে সুস্বাস্থের অধিকারী হতে পারে সেই বিষয়ে প্রেষণা দিবেন। তাহলে বাচ্চারা আগ্রহের সাথে সুস্বাস্থের অধিকারী হওয়ার জন্য নিয়মিত খাবার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। এবং নিজের স্বাস্থের প্রতি যত্নবান হবে।