দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিলিয়ান এমবাপ্পে উনিশ বছর বয়সি এক ফরাসি স্ট্রাইকার। এই তরুণ উদ্যোমী খেলোয়াড় পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে যেমন ছড়িয়েছেন তার পায়ের জাদু, তেমনি বিশ্বকাপের বাইরেও দানবীর হিসেবে ছড়ালেন তার উদারতার আলো।
তরুণদের স্পৃহা, মনবল কেমন হওয়া দরকার এমবাপ্পে তা বিশ্ববাসীকে আরেকবার বুঝিয়ে দিল। প্রতিটি ম্যাচেই তার অসাধারণ পারফর্ম্যান্স ফ্রান্সকে এনে দিয়েছে দারুণ সব জয়। তার জোড়া গোলে ২ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। ফাইনাল ম্যাচেও তার দারুন একটি গোল ফ্রান্সের জয়কে আর সহজ করে দিয়েছিল। ১৯৫৮ সালে পেলের কীর্তি ছুঁয়ে ফেলেছেন এই তরুণ ফুটবলার।
ফ্রান্সের এ তরুণ স্ট্রাইকার রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে আয় করা সমস্ত অর্থই দান করে দিয়েছেন ‘প্রিমিয়ার ডি করডি’ নামক এক দাতব্য সংস্থাকে। এই সংস্থাটি প্রতিবন্ধী শিশু ও হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের নিয়ে কাজ করে।
খেলাধুলা বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘স্পোর্টস ইলাসট্রেটেড’ এর তথ্য অনুসারে, এমবাপ্পে রাশিয়া বিশ্বকাপে ম্যাচ প্রতি ১৭ হাজার পাউন্ড পেয়েছেন। বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের সদস্য হিসেবে পেয়েছেন আরো ২ লাখ ৬৫ হাজার পাউন্ড। বিশ্বকাপ থেকে এমবাপ্পের মোট প্রাপ্ত অর্থ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার পাউন্ড, যার পুরোটাই তিনি দান করেছেন। এত কম বয়সে এমন উদ্যোমী খেলোয়াড় এবং এভাবে উদার মনে দান করার মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তি খুব কমই রয়েছে।
প্রিমিয়ার ডি করডি সংস্থার মুখপাত্র সেবাস্তিয়ান রাফিনের মতে, তার চোখে এমবাপ্পে একজন অসাধারণ মানুষ। তিনি আরো বলেন, “যখনই তিনি সুযোগ পান, উদার মনে আমাদের সাহায্য করেন। আমরা তার নিকট চিরকৃতজ্ঞ।” তার এই দানশীলতা এবং উদারতার কারণে সারা বিশ্ব তাকে শ্রদ্ধার সাথে দেখছে। এভাবেই তিনি একজন উদার, দানশীল এবং ফুটবলের কিংবদন্তি হয়ে বিশ্ববাসীর কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে থাকবেন।