The Dhaka Times
তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে রাখার প্রত্যয়ে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সামাজিক ম্যাগাজিন।

redporn sex videos porn movies black cock girl in blue bikini blowjobs in pov and wanks off.

মহাশূন্যে প্রথম মানব ইউরি গ্যাগারিনের মৃত্যুরহস্য উন্মোচন

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক ॥ মহাশূন্যে প্রথম মানব হিসেব তার নাম ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকা সেই ইউরি গ্যাগারিনের মৃত্যুরহস্য দীর্ঘ ৪০ বছর পর উন্মোচন হয়েছে।

Yuri Gagarin

১৯৬১ সালের ১২ই এপ্রিল। মহাশূন্যে প্রথম মানব হিসেবে ইতিহাসে ঠাঁই করে নিলেন ইউরি গ্যাগারিন। বয়স তখন মাত্র ২৭, ভস্তোক-১ নামক মহাকাশ যানটিতে ১০৮ মিনিট আবর্তন করেন পৃথিবীর চারপাশে। ১৯৬৮ সালে তার মৃত্যুর ঘটনা এখন পর্যন্ত নানা রহস্যের জটে ঘিরেছিল। একটি প্রশিক্ষণ বিমান-বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান তিনি। কিন্তু এটা কোন স্বাভাবিক বিমান-বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ছিল না। ধামাচাপা দিয়ে দেয়া হয় মহাশূন্য জয়ের প্রথম নায়ক ইউরি গ্যাগারিনের মৃত্যুর আসল ঘটনা। বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রের আভাস উঠে আসতে থাকে।

সোভিয়েত নেতা লিওনিড ব্রেজনেভের হুকুমে তাকে হত্যা করা হয়- এমন গুজব শোনা যায়। আবার কখনও বলা হয় ইউরি আত্মহত্যা করেছিলেন। এমন কথাও রটেছিল যে তার প্লেন একটি ইউএফও’র সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। আসল সত্য নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলতেই থাকে। ২০১১ সালের প্রথম দিকে ক্রেমলিন নথিপত্র থেকে প্রকাশ করা হয় ইউরির মিগ জেট একটি ওয়েদার বেলুন এড়াতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে ভূপাতিত হয় এবং তিনি সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান। কিন্তু আসল ঘটনা সম্পূর্ণই অন্য ধরনের।

৪০ বছর পর অবশেষে ইউরি গ্যাগারিনের মৃত্যুর সত্যিকার কারণ প্রকাশিত হলো। রহস্যের জট উন্মোচন করলেন ইউরি গ্যাগারিনের সহ-নভোচারী এলেক্সি লিওনভ। ১৯৬৫ সালে লিওনভ মহাশূন্যে স্পেসওয়াক করা প্রথম মানুষ হিসেবে গৌরব অর্জন করেন। ইউরি গ্যাগ্যারিনের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটির মধ্যে লিওনিডকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০ বছরে তিনি আসল ঘটনা প্রকাশ করতে চেয়েছেন। অবশেষে সত্যিকার ঘটনাপ্রবাহ প্রকাশ করতে তাকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।

লিওনভ রাশিয়া টুডেকে বলেন, ‘ঘটনা যেটা প্রকাশ করা হয়েছে সেটা সাধারণ মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য, কিন্তু পেশাদার কারও কাছে নয়। বরং প্রকৃত ঘটনাপ্রবাহ সম্পূর্ণই ভিন্ন।’ ২৭শে মার্চের ওই দিনে লিওনিড জাম্প ট্রেনিং-এর দায়িত্বে চকাভলস্কি এয়ারফিল্ডে ছিলেন, যেখান থেকে ইউরির প্লেনটি উড্ডয়ন করেছিল। তিনি বিমান-বিধ্বস্ত হওয়ার শব্দ শুনেছিলেন এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। তিনি জানান, ইউরির এয়ারক্রাফটের খুব নিকটে বিপজ্জনক দূরত্বে অনুমোদনহীন একটি এসইউ-১৫ ফাইটার জেট ছিল। জেটটির ওড়ার কথা ১০০০০ মিটার উচ্চতায়, কিন্তু সেটা নিয়ম না মেনে নিচে নেমে আসে মাত্র ৪৫০ মিটার উচ্চতায়। এসইউ-১৫ জেটটির পেছনের অংশ দিয়ে ধোঁয়া ও আগুন বের হওয়া অবস্থায় ইউরির প্লেনের খুব কাছে এসে জেটটি ঘুরে দিক পরিবর্তন করে। ফলে ইউরির প্লেনটি ঘণ্টায় ৭৫০ কিলোমিটার বেগে চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে মাটিতে এসে বিধ্বস্ত হয়। বাজে আবহাওয়ার কারণে লিওনভ প্রশিক্ষণ বাতিল হওয়ার আদেশের অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময় তিনি সুপারসনিক গতির শব্দ এবং কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হওয়ার বিকট শব্দ শুনতে পান। পরে তাকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অনেক পরে তিনি চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দেখার সুযোগ পান। সেখানে তিনি বিভিন্ন ধরনের তথ্যের গরমিল লক্ষ্য করেন। তিনি ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছিলেন সেখানে তার নাম লেখা থাকলেও লেখাটা ছিল অন্যের হাতে। সুপারসনিক শব্দ এবং বিধ্বস্ত হওয়ার শব্দ শুনতে পাওয়ার মাঝখানের সময়ের ব্যবধান তিনি উলেস্নখ করেছিলেন ১.৫ থেকে ২ সেকেন্ড। সেটা পরিবর্তন করে ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড করা হয়েছে। অর্থাৎ তার দেয়া তথ্যনুযায়ী জেট দু’টির মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র ৫০ কিলোমিটার। ৭৫০ কিলোমিটার বেগে ভূপাতিত হওয়া পর্যন্ত ইউরি ৫৫ সেকেন্ড সময় পেয়েছিলেন। সময়ের ব্যবধান থেকে কম্পিউটারের সাহায্যে বের করা সম্ভব হয় কত দ্রুত প্লেনটি চক্রাকারে ঘুরছিল। দেখা যায়, ঘূর্ণনের গতি ছিল অনেক বেশি। এত গভীর স্পাইরালে প্লেন ডুবে যেতে পারে যদি অপেক্ষাকৃত বৃহৎ এবং ভারী কোন বিমান নিকটবর্তী হয়ে বাতাসের ধাক্কায় এটাকে উল্টে দেয়। ইউরি গ্যাগারিনের সঙ্গে ঠিক সেটাই হয়েছিল।

প্রশ্ন থেকেই যায় ইউরি গ্যাগারিনের মৃত্যুর জন্য দায়ী এসইউ-১৫’র পাইলট কে ছিল আসল ঘটনা প্রকাশ করার সুযোগ দেয়ার শর্ত হিসেবে লিওনভকে ওই পাইলটের পরিচয় গোপন রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করা হয়। তবে তিনি এতটুকু জানিয়েছেন, ৮০ বছর বয়সী ঘাতক পাইলট অসুস্থতা নিয়ে এখনও বেঁচে আছেন। মহাকাশে পদার্পণের পথিকৃত ইউরি গ্যাগারিনের পরিণতি নিঃসন্দেহে দুঃখজনক ও আক্ষেপের। তবে এটাও সত্য, যে বা যারাই জড়িত থেকে থাকুক না কেন তাদের পরিচয় গোপন না থেকে সামনে এলেও অবশেষে একসময় ঠিকই হারিয়ে যাবে কালের গহবরে। কিন্তু ইউরি গ্যাগারিনের নাম ইতিহাসের সোনালি অধ্যায়ে সমুজ্জ্বল থাকবেন চিরদিন।

এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে মহাশূন্যে প্রথম মানব হিসেবে ইতিহাসে ঠাঁই করে নেওয়া ইউরি গ্যাগারিনের ৪০ বছর আগের মৃত্যুরহস্য উন্মোচিত হলো।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

Loading...
sex không che
mms desi
wwwxxx
bn_BDBengali