দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইমরান খান নেতৃত্বাধীন তেহরিকে ইনসাফ পার্টি মুসলিম লীগ-নওয়াজের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ আসনে বিজয়ী হয়েছে। যে কারণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ইমরান খান।
সংবাদ মাধমের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইমরান খান নেতৃত্বাধীন তেহরিকে ইনসাফ পার্টি মুসলিম লীগ-নওয়াজের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ আসনে বিজয়ী হয়েছে। তবে তেহরিকে ইনসাফ ছাড়া অন্যসব দল নির্বাচনের এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে।
গতকাল (২৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে, দেশটির তেহরিকে ইনসাফ পেয়েছে ১১১টি আসন এবং মুসলিম লীগ-নওয়াজ পেয়েছে ৬৫টি আসন। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছে ৪৩টি আসন, এমকিউএম ৫টি ও এমএমএ ৯টি আসন পেয়েছে। আজ (২৬ জুলাই) পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।
গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যার পর হতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হওয়া শুরু হলে তেহরিকে ইনসাফ দলের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করতে থাকে।
অপরদিকে পাকিস্তানের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাই শাহবাজ শরীফ এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন যে, নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি হয়েছে। এই ফলাফলে জনগণের প্রকৃত রায়ের প্রতিফলন ঘটেনি। পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো নির্বাচনের ফলাফলকে ‘অযৌক্তিক এবং অসঙ্গত’ বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক দলও নির্বাচনের ফলাফলের ব্যাপারে কঠোরভাবে আপত্তি করেছে।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের প্রধান (সিইসি) মুহাম্মাদ রাজা খান এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছেন যে, নির্বাচন ১০০% সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে। তিনি আজ (২৬ জুলাই) ভোর ৪টায় রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ব্যবস্থা নিয়ে তেহরিকে ইনসাফ দলকে বিজয়ী করার জন্য পূর্ব হতেই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলো বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হয়।