দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি বর্তমানে যেই অপারেটরের সিম ব্যবহার করছেন তা হয়ত নানা সমস্যা বা বিল বেশি কাটার কারণে সিমটি পরিবর্তনের কথা ভাবছেন। কিন্তু সিম পরিবর্তন করলে তো আপনার পরিচিত সবাই বর্তমান নাম্বারে ফোন করে আপনার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারবে না। তাই খুব ঝামেলার মধ্যে আছেন। এই সমস্যা সমাধান করতে চলে আসছে এমএনপি সুবিধা যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার নাম্বার ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১ আগস্ট থেকেই নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের এমএনপি সুযোগ পেতে যাচ্ছেন মোবাইল ফোনের গ্রাহকেরা। এমএনপি মানে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি। অপারেটর পরিবর্তনের জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে পরিবর্তন ফি ৩০ টাকা এবং ভ্যাট সহ মোট ৩৪ টাকা। পরিবর্তিত নতুন অপারেটরের আওতায় কমপক্ষে ৯০ দিন থাকতে হবে। তারপর আবার ইচ্ছে হলে অন্য অপারেটরে পরিবর্তন করতে পারবেন। সিষ্টেমটা অনেকটা প্যাকেজ পরিবর্তনের মত।
গত ২৬ জুলাই টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সদস্যদের সঙ্গে এক আলোচনায় এমন তথ্যই জানিয়েছেন এমএনপির দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠান ইনফোজিলিয়ানের কর্মকর্তারা। বিটিআরসির তরফ থেকে বলা হয়েছে, ১ আগস্টে যাতে এমএনপি সেবা চালু করা যায় সে চেষ্টাই তারা করছে।
বিটিআরসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী, এমএনপি সেবা নিতে হলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে তার সিম কার্ড বদলাতে হবে। অর্থাৎ নতুন অপারেটরের সিম কার্ড নিতে হবে। কোনো গ্রাহক তার অপারেটর পরিবর্তন করতে চাইলে যে অপারেটরে তিনি যেতে চান তাদের কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে যেতে হবে। সকল প্রক্রিয়া কাস্টমার সেবাদানকারী কর্মীরা সম্পন্ন করে তাদের অপারেটরের নতুন সিম কার্ড দেবে। এরপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নতুন সিমটি সক্রিয় হবে।
তবে গ্রাহককে নতুন অপারেটরে যেতে হলে আগের অপারেটরের সমস্ত দেনাপাওনা পরিশোধ করতে হবে নইলে নতুন অপারেটরে পরিবর্তন হওয়া যাবে না। কোন গ্রাহক সিমে টাকা রেখে অপারেটর পরিবর্তন করলে সেই টাকা নতুন অপারেটরে যোগ হবে না। তাই চলতি অপারেটরের ব্যালেন্স শেষ করে নতুন অপারেটরের সুবিধা নিতে হবে।