দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কার্লোটা ফ্লোরসের মেক্সিকান রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন একজন নারী ওয়েটার। সেসময় সেই রেস্টুরেন্ট থেকে ওই ওয়েটার কিছু টাকা চুরি করেছিলেন। এক দশক পর চুরির সেই এক হাজার মার্কিন ডলার ফেরত দিলেন!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, কার্লোটা ফ্লোরসের রেস্টুরেন্টটির নাম ‘এল চারো রেস্টুরেন্ট’। গত সপ্তাহে একটি চিঠি পেয়ে চমকে যান রেস্টুরেন্টটির মারিক। চিঠির সঙ্গে এক হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়ে চুরির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তার সাবেক কর্মী!
চিঠিতে ওই নারী ওয়েটার বলেছেন, তিনি ১৯৯০ সালের দিকে এই রেস্টুরেন্টটিতে কাজ করতেন। পাশপাশি তিনি অ্যারিজোয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাও করতেন।
চিঠিতে সাবেক ওই ওয়েটার লেখেন যে, চুরির ব্যাপারটা আমার এক সহকর্মী সেসময় আমাকে ‘ভুলে’ যেতে বলেন। কোনো এক নির্বুদ্ধিতার কারণে আমি চুরির ব্যাপারটি ভুলেও গিয়েছিলাম। তিনি আরও লেখেন যে, আমি চার্চেই বড় হয়েছি। এর আগে আমি কখনই একটি রুপার মুদ্রাও চুরি করিনি বা এই চুরির ঘটনার পরেও আর কখনও চুরি করিনি।
অবশ্য চিঠিতে ওই নারী ওয়েটার তার নাম পরিচয় প্রকাশ করেননি। খামে প্রেরক হিসেবে নিজের নাম দিয়েছেন যে, ‘একজন সাবেক কৃতজ্ঞ কর্মী’। চিঠিতে তিনি আরও লেখেন যে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ চুরির পরিমাণ কয়েকশ ডলার হওয়ার আগেই আমাকে আপনি বহিষ্কার করেছেন।
ক্ষমা চেয়ে ওই নারী চিঠিতে লিখেছেন যে, প্রায় ২০ বছর পার হয়ে গেছে। তবে এই কারণে এখনও আমার অনুতাপ হয়। আমি দু:খিত আপনার রেস্টুরেন্ট হতে চুরি করেছিলাম। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আমার চুরির টাকা ২০ বছরের সুদসহ পরিশোধ করলাম। ঈশ্বর আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে ভালো রাখুন।
রেস্টুরেন্ট মালিক ফ্লোরস বলেছেন, আমার একটি পার্স চুরি হয়ে গিয়েছিল। এভাবে টাকা ফেরত পাঠিয়ে অনুতাপ প্রকাশ করা মানে এখনও আমাদের আশেপাশে অনেক ভালো মানুষ রয়েছে। আমি আসলেও বুঝতে পারছি না, কে টাকা চুরি করেছে। বা সে কোথায় আছে তাও আমি জানি না।
এই বিষয়ে রেস্টুরেন্ট মালিক ফ্লোরস বলেছেন যে, আমি ওই নারী ওয়েটারকে তার দেওয়া সমস্ত টাকা ফেরত দিতে চাই।