দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এয়ারটেলকে ফ্রি তরঙ্গ বিতরণ করায় সরকারের ১২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর পিছনে রয়েছে দুর্নীতি পরায়ন কিছু কর্মকর্তা। খবর ইন্টারনেট সূত্রের।
অনলাইন সংবাদের ওই খবরে আরও বলা হয়েছে, দেশের অন্যান্য মোবাইল অপারেটরদের তরঙ্গ বরাদ্দের ক্ষেত্রে নির্দিষ্টহারে ফি নেওয়া হলেও এয়ারটেলের ক্ষেত্রে ঘটেছে এর ব্যতিক্রম। আর এ ব্যতিক্রম ঘটনার পেছনে দুর্নীতি রয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। বিটিআরসির তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়ে সম্প্রতি কম্পট্রোলার জেনারেল অব অডিট (সিএজি) কার্যালয়ে থেকে দেয়া নিরীক্ষা প্রতিবেদনেও তরঙ্গ বরাদ্দে অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে।
এদিকে এয়ারটেলের এই বড় রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোসের কাছে জানতে চাইলে গত ৯ জুন জাতীয় সংসদ ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।
খবরে বলা হয়, ২০০৫ সালের ২০ ডিসেম্বর তৎকালীন ওয়ারিদ টেলিকম বর্তমান এয়ারটেলকে ১৫ বছরের জন্য জিএসএম সেলুলার মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস অপারেটর লাইসেন্স প্রদান করে। এ সময় লাইসেন্স ফি বাবদ ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩৩০ কোটি ৭৫ লাখ ৫৫ টাকা আদায় করে বিটিআরসি।
ঠিক সেই সময় এই কোম্পানিকে বিটিআরসির জিএমএস (গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন) ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড ১৫ বছরের জন্য ১৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ বিনামূল্যে বরাদ্দ করে। প্রতি মেগাহার্জ তরঙ্গের দাম ৮০ কোটি টাকা। আর সেই হিসেবে ১৫ মেগাহার্জ তরঙ্গের দাম পড়ে ১২০০ কোটি টাকা। বিনামূল্যে এই তরঙ্গ বরাদ্দের কারণে সরকারের ক্ষতি হয়েছে ১২০০ কোটি টাকা।
গ্রামীণফোন লিমিটেড থেকে ৭ দশমিক ৪ মেগাহার্জ তরঙ্গ বরাদ্দের বিপরীতে ৫৯১ কোটি টাকা, ওরাসকম টেলিকম (বাংলালিংক) থেকে দুই দশমিক ৬ মেগাহার্জ তরঙ্গ বরাদ্দের বিপরীতে ২০৮ কোটি টাকা এবং আজিআটা বাংলাদেশ লিমিটেড (রবি) থেকে দুই মেগাহার্জ তরঙ্গ বরাদ্দের বিপরীতে ১৬০ কোটি টাকা আদায় করে বিটিআরসি।
উল্লেখ্য, বিটিআরসি ২০০৫ সালে ‘স্পেকট্রাম প্রাইসিং পলিসি’ প্রণয়ন করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে বিটিআরসি প্রতি মেগাহার্জ তরঙ্গের মূল্য ৮০ কোটি টাকা ধার্য করে।