দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে চালু হয়েছে মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) অর্থাৎ মোবাইল নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন করার সুবিধা।
এই সুবিধার কারণে যে কোনো মোবাইল অপারেটরের গ্রাহক চাইলেই অন্য অপারেটরে মাইগ্রেট করতে পারবেন নম্বর পরিবর্তন না করেই। তবে এই বিশেষ সুবিধাটি পেতে হলে অনুসরণ করতে হবে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম। সেই নিয়মগুলো থাকছে আজকের এই প্রতিবেদনে।
গ্রাহক যেহেতু একটি অপারেটর হতে অন্য অপারেটরে যাবেন তাই তিনি যে অপারেটরে যেতে চান তাকে সেই অপারেটর হতে নতুন সিম সংগ্রহ করতে হবে। সেইসঙ্গে আরও যা করতে হবে তা হলো:
# প্রথমেই গ্রাহক যে অপারেটরে মাইগ্রেট হতে চান সেই অপারেটরের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। এই সময় আগের অপারেটরে ব্যবহৃত সিমও সঙ্গে রাখতে হবে।
# তখন কাংখিত অপারেটর পূর্বের অপারেটরের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করে নতুন অপারেটরের জন্য আবেদন করবেন। এই পুরো প্রক্রিয়াটিই হবে অনলাইনের মাধ্যমে।
# পুরনো অপারেটর ছাড়পত্র দেওয়ার পর নম্বর পোর্টেবিলিটি ক্লিয়ারিং হাউজ নম্বরের নতুন পোর্টিং করে দেবেন।
# এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গ্রাহককে তার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ছবির কোনো প্রয়োজন হবে না। আঙ্গুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হবে। তবে অপারেটর হতে গ্রাহকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তারা যেনো জাতীয় পরিচয়পত্র বা তার অনুলিপি সঙ্গে রাখেন।
# নতুন সিম পেতে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে ১০ মিনিটের মতো সময় লাগতে পারে। তবে নতুন সিম সক্রিয় হতে কমপক্ষে ১ ঘন্টা হতে সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টা সময় লেগে যেতে পারে।
# পোস্টপেইডের গ্রাহকরা নতুন অপারেটরে গেলে প্রি-পেইড বা প্রি-পেইডের গ্রাহক নতুন অপারেটরে গেলে পোস্টপেইডে যেতে পারবেন না।
# পোস্টপেইডের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে পুরনো অপারেটরে যদি কোনো বিল বকেয়া থাকে তাহলে তা পরিশোধ না করলে অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে না।
# পুরনো অপারেটরে থাকা মোবাইল কোনো ব্যালেন্স এবং ইন্টারনেট ডাটা নতুন অপারেটরে সিমের সঙ্গে কখনও যোগ হবে না। তাই পুরনো সিমের ব্যালেন্স ও ডাটা শেষ করে তবেই নতুন অপারেটরে যাওয়ায় হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তবে পুরনো অপারেটরের সিমে যদি ব্যালেন্স কোনো কারণে থেকেই যায় তবে তা দুই বছর পর্যন্ত ওই সিমে রাখার নিয়ম করছে বিটিআরসি। যদি গ্রাহক দুই বছরের মধ্যে আগের অপারেটরে ফিরে যান তবে সেই ব্যালেন্স পাবেন। ফিরে না গেলে ওই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হয়ে যাবে।
# বিটিআরসি’র নিয়মে বলা হয়েছে, একবার অপারেটর পরিবর্তন করার ৯০ দিনের মধ্যে আর দ্বিতীয়বার অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে না।
ফি বা চার্জ কতো জেনে নিন
গ্রাহককে অপারেটর পরিবর্তন করতে হলে খরচ করতে হবে ১৫৮। সিম পরিবর্তনের ফি, কর ও ভ্যাট হিসেবে গুণতে হবে এইসব অর্থ।
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে বাংলাদেশসহ মোট ৭২টি দেশে এই মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা চালু রয়েছে।