দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তার বাবা ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান; বাবাও ভাবতো ছেলে তার মতোই শিক্ষিত হোক। কিন্তু ছেলে তো খ্যাপাটে স্বভাবের। যার পড়ালেখা ভাল লাগেনা, ভালো লাগে শুধু গান গাইতে।
বাবা গান গাইতে দেয়নি বলে কিশোর জেমস ঘর ছাড়লেন! ঘর ছেড়ে উঠলেন চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিংয়ে। যেখান থেকে আমরা পেয়েছি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রকস্টার!
প্রথমে ফিলিংস দিয়ে শুরু এরপরে নগরবাউল দিয়ে এখন সবার ‘গুরু’ জেমস! গানের টানে ঢাকায় আসা। আশির দশকের মাঝামাঝি প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশান রোড’ প্রকাশিত হয়! কিন্ত খুব বেশী সাড়া ফেলা গেলনা। এরপরে ‘অনন্যা’ আসে। সেই অ্যালবাম মোটামুটি শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। সবচেয়ে বড় চমক নিয়ে আসে জেমস। ‘জেল থেকে বলছি’ অ্যালবাম দিয়ে নিজের জানান দিয়ে দেয় জেমস ও নগরবাউল।
এরপরের গল্পটা সবার জানা। একের পর এক দুর্দান্ত গান আমাদের উপহার দিয়েছে আর নিজে বনে গেছে আমাদের সবচেয়ে বড় রকস্টার। জেমসে কয়টা গানের নাম উল্লেখ করা যায় বলুন? তার সব গানই তো শ্রুতিমধুর। সে এমন একজন গায়ক তার গলায় যাই শুনি ভাল্লাগে। এজন্যই তো তিনি গুরু।
ভারতেও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন জেমস। ‘ভিগি ভিগি’ ‘আলবিদা’ ‘চল চলে’ এর মতো জনপ্রিয় কিছু গান উপহার দিয়েছন।
১৯৬৪ সালের আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করে কিংবদন্তি ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস।
প্রিয় জেমস, আলাদা এক শ্রোতা প্রজন্ম সৃষ্টি করা এক রকস্টার আপনি। যারা আপনার গানে বুঁধ হয়ে থাকে। ধনী থেকে একদম দরিদ্র, পাঁচ তারকা হোটেল থেকে গলির মোড়ের টঙ দোকান সর্বক্ষেত্রের শ্রোতাদের কাছে আপনি জনপ্রিয়। সেই ছোট থেকে আপনার গান শুনে বড় হয়ে যাওয়া দুষ্টু ছেলের দল আপনাকে ভুলবে না কখনওই। ঘর ছেড়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করা এক অর্জনে মোড়ানো আভিজাত্য আপনি। আপনিই তো সত্যিকারের এক রকস্টার।
শুভ জন্মদিন গুরু। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।