দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বজুড়ে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বইছে। এমন এক পরিস্থিতির কারণে শেষ পর্যন্ত বদলে যেতে পারে সৌদি যুবরাজ!
সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পর সমগ্র বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে গেছে নানা সমালোচনা। চরম বিপাকের মধ্যে পড়েছে সৌদি আরব। তাই রাজতন্ত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স বা সৌদি যুবরাজ বদল করতে পারেন সৌদি আরবের রাজা সালমান বিন আব্দুল আজিজ। এমনটাই মনে করছেন সৌদি আরবে ব্রিটেনের কূটনৈতিক মিশনে সংযুক্ত জনৈক কর্মকর্তা।
এই বিষয়ে সৌদি আরব ও ইয়েমেনে ব্রিটেনের কূটনৈতিক মিশনে একসময় সম্পৃক্ত থাকা কর্নেল ব্রায়ান লিস বলেন যে, সত্যিকারের শাসক হিসেবে ক্রাউন প্রিন্সের দিনগুলো চিহ্নিত হবে। রাজা সালমান হয়তো এই মামলাটি খারাপভাবে নিয়ন্ত্রণ করার কারণে তাকে বদলাবেন।
আল সাউদ রুলিং ফ্যামিলি অব সৌদি আরব বইয়ের লেখক কর্নেল লিস রুদাওকে বলেছেন, সৌদিরা কখনোই মানবেন না যে যু্বরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নিন্দনীয় ছিলো, তাই বলেই সেটি পরিষ্কার হয়ে যায় না। আমি মনে করি রাজা সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন সময় আছেন বলেই মনে করছেন। তাই এই সমস্যা হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি যুবরাজ বদলাতে পারেন।
সেইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, তবে সেটা খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে হবে না, হয়তো কয়েক মাসেও তা হবে না। কারণ হলো তাহলে সেটি বিদেশী চাপের কাছে মাথা নতো করার মতো দেখাবে। সেক্ষেত্রে সবথেকে কার্যকর প্রযুক্তি হলো স্পেশাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের ব্যবহার করতে পারেন তিনি। তাতেকরে রাজতন্ত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা আবারও পুন:প্রতিষ্ঠা হবে।
ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসের ভেতরে প্রবেশের পর নিখোঁজ হওয়া সাংবাদিক জামাল খাশোগির মৃত্যুতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। সমালোচকদের সন্দেহ যুবরাজই এই হাই প্রোফাইল অপারেশনের নির্দেশ দিয়েছেন বা তিনি এই সম্পর্কে সবই জানেন।
সৌদি প্রসিকিউটররা বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত ছিলো ও সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে গিয়ে নিখোঁজ হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। প্রথম দিকে সৌদি সরকার বিষয়টি অস্বীকার করলেও, পরে সৌদি আরবের পক্ষ হতে কনস্যুলেটের ভেতরে খাশোগি নিহত হয়েছেন বলে স্বীকার করা হয়েছে। তবে বাক বিতণ্ডার কারণে তিনি খুন হয়েছেন বলে যে যুক্তি দেখানো হয়েছে তা ধোপে টিকছে না। যে কারণে সৌদি আরব সম্পর্কে সমগ্র বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। সৌদি আরবের মতো একটি খ্যাতিমান মুসলিম রাষ্ট্র আজ চরমভাবে বিতর্কিত। আর এই বিতর্কের পিছনে একমাত্র ব্যক্তি হলেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স বা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।