দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রায় সর্বত্র। এর অত্যাধিক ব্যবহার নিয়ে মানুষের মনে অনেক ভীতিও তৈরি হয়েছে। তবে সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে এটি বিশেষ উপকারে আসবে তাতে সন্দেহ নেই।
বর্তমান যুগে বিশেষ করে যারা মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত তাদের জন্য ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি। হয়তো এটি অনেক জটিল প্রক্রিয়ায় ব্যবহার হবে। তবে এবার সেই ভয়কে সম্ভবত আরও একটু বাড়িয়ে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
কারণ হলো এই সংস্থাটি সম্প্রতি ‘আই বর্ডার কন্ট্রোল’ নামে এমন একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) -চালিত সিস্টেম স্থাপন করছে, যা ভ্রমণকারীরা মিথ্যা বলছে কিনা তা খুব সহজেই নির্ণয় করতে পারবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আশা করছে যে, এর মাধ্যমে ভ্রমণকারীদের তথ্য যাচাইয়ের পুরো প্রক্রিয়াটিই আরও দ্রুততর হয়ে উঠবে।
নিউ সায়েন্টিস্ট-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন হতে জানা যায়, হাঙ্গেরি, গ্রীস এবং লাতভিয়ার ৪টি বর্ডার ক্রসিং পয়েন্টে এই নতুন প্রযুক্তিটির ৬ মাসব্যাপী একটি পরীক্ষামূলক ব্যবহার চালাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাক-স্ক্রিনিংয়ের সময়, ব্যবহারকারীদের পাসপোর্ট, ভিসা ও তহবিলের প্রমাণ আপলোড করতে হবে। এরপর কম্পিউটার-জেনারেটেড বর্ডার গার্ড ওয়েবক্যামে তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করবে। ব্যবহারকারীদের ছোট ছোট এক্সপ্রেশনগুলো বিশ্লেষণ করে সিস্টেমটি তখন জানিয়ে দিতে পারবে যে, ভ্রমণকারী মিথ্যা বলছে কিনা বা সে ঠিক কতোটা ঝুঁকিপূর্ণ।
যেমন প্রশ্ন করবে আপনার স্যুটকেসে কী আছে? যদি আপনার স্যুটকেসটি খোলা হয় ও ভিতরে যা রয়েছে তা দেখা হয় তবে আপনার দেওয়া উত্তরগুলো কী সত্য বলে প্রমাণিত হবে?- ভ্রমণকারীদের মূলত এই ধরনেরই নানা প্রশ্নই করা হবে।
এই প্রশ্নের-উত্তরে অর্থাৎ পরীক্ষায় যারা পাস করবেন, তাদেরকে একটি কিউআর কোড দেওয়া হবে যার মাধ্যমে তারা ভ্রমণের অনুমতি পাবেন। যদি সিস্টেম কারও বিষয়ে কোনো রকম সন্দেহ প্রকাশ করে তবে তার বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে ও পরবর্তী ধাপ হিসেবে মানুষের সহায়তা নেওয়া হবে অর্থাৎ নিরাপত্তা কর্মকর্তার কাছে তখন হস্তান্তর করা হবে।
তবে এই ধরনের সিস্টেম কতোটা সঠিক তথ্য প্রদান করবে তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়েই গেছে। ‘আই বর্ডার কন্ট্রোল’ এখনও তার প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে। গবেষক দলটির এক সদস্য নিউ সায়েন্টিস্টকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক পরীক্ষামূলক ব্যবহারে দেখা গেছে এর সাফল্যের হার ছিল ৭৬ শতাংশ। বাকিটা বোঝা যাবে আরও পরীক্ষার পর।