দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আজ (বৃহস্পতিবার)। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো মিয়ানমার যাচ্ছেন ১৫০ রোহিঙ্গা। ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গার উখিয়া-টেকনাফে বসবাস করছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আজ (বৃহস্পতিবার)। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো মিয়ানমার যাচ্ছেন ১৫০ রোহিঙ্গা। ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গার উখিয়া-টেকনাফে বসবাস করছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আজ (বৃহস্পতিবার) শুরু হচ্ছে। তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) প্রথম দিন দুপুরে ৩০টি পরিবারের ১৫০ জন রোহিঙ্গার যাওয়ার কথা রয়েছে। জাতিসংঘ মনে করছে এতে করে প্রত্যাবাসন কতখানি সফল হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
জানা গেছে, প্রত্যাবাসনে অন্তর্ভুক্ত ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গার তালিকা জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে ইতিমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে, সব প্রস্তুতি শেষ। বৃহস্পতিবারই প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের প্রথমে ঘুমধুমের ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করবেন। এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটি ধারাবাহিকভাবে চলবে।
এই বিষয়ে গত ৩০ অক্টোবর জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিহ্নিত করা ৪৮৫টি পরিবারের মোট ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ফেরত নিতে রাজি হয়। তবে দেশটি প্রতিদিন মাত্র ১৫০ জন করে ফেরত নেবে বলে জানিয়েছে। সেজন্য টেকনাফের কেরানতলীতে একটি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় আরেকটি অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) প্রথমে তাদের সেখানেই নিয়ে রাখা হবে। এরপর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হবে। দু’ দেশের প্রতিনিধিরা তখন সেখানে থাকবেন। প্রতিদিন ১৫০ জন করে আগামী ১৫ দিন এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতার মুখে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে উখিয়া-টেকনাফের একাধিক শিবিরে আশ্রয় গ্রহণ করে। ইতিপূর্বে একই কারণে আরও ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে সব মিলিয়ে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গার উখিয়া-টেকনাফে বসবাস করছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যা ও নানারকম নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। যেসব অভিযোগের অনেকগুলো সত্যতাও পেয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা।