দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার জের হিসেবে তিউনিশিয়ায় সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের সফরে মানবাধিকার কর্মীদের বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছেন। আগামী ২৭ নভেম্বর যুবরাজ বিন সালমান তিউনিশিয়া সফর করবেন বলে কথা রয়েছে।
সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার জের হিসেবে তিউনিশিয়ায় সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের সফরে মানবাধিকার কর্মীদের বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছেন। আগামী ২৭ নভেম্বর যুবরাজ বিন সালমান তিউনিশিয়া সফর করবেন বলে কথা রয়েছে।
তিউনিশিয়ার জনগণসহ স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের পরিকল্পিত সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছে। আগামী ২৭ নভেম্বর যুবরাজ বিন সালমান তিউনিশিয়া সফরে যাবার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিউনিশিয়া সরকারের একজন মুখপাত্র সাঈদা কারাশ ২৭ নভেম্বরের সফরের কথা নিশ্চিত করছেন। সৌদি রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজের পরামর্শে যুবরাজ এই সফরে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়। রাজা সালমান বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্পর্ক জোরদার করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
খ্যাতিমান সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পর সৌদি যুবরাজ এই প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরের পরিকল্পনা করেছেন। তবে তিউনিশিয়ার রাজনীতিবিদ এবং সুশীল সমাজের নেতারা সফরকে কোনো মতেই মেনে নিতে চাইছেন না। তারা বলছেন যে, এখনও জামাল খাশোগির রক্ত শীতল হয়নি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুবরাজ নিজেই জড়িত বলে খুব জোরালোভাবেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান গত বৃহস্পতিবার আবুধাবি গেছেন এবং তিনি বাহরাইন ও মিশরও সফর করবেন। এই দেশগুলো সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সৌদি আরবের পাশে শক্তভাবে অবস্থান নিয়েছে।
অপরদিক আরেক খবরে জানা যায়, এ মাসের শেষ দিকে যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনেও যোগ দেবেন। ধারণা করা হচ্ছে যে, সেখানে তিনি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগানসহ বিশ্বের অনেক দেশের নেতার মুখোমুখি হবেন। কারণ জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় এরদোগান বরাবর বলে আসছেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান জড়িত।
উল্লেখ্য, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে গত ২ অক্টোবর কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিখোঁজ হন। প্রথমে সৌদি আরব বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে খাশোগি হত্যা হয়েছে বলে স্বীকার করে নেয়। বিষয়টি নিয়ে সমগ্র বিশ্বব্যাপি ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কারণ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে স্বয়ং সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।