দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে প্রায় সকল জিনিসেই রয়েছে ভেজাল। ভেজালের ভীড়ে খাঁটি জিনিস পাওয়া খুবই কঠিন। দুধে ভেজাল সেই প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। তবে প্রাচীনকালে দুধে শুধু পানিই মেশানো হত। ফলে সেই দুধ পান করে আমাদের তেমন কোন ক্ষতি হত না। এই আরকি পরিমাণে একটু কম পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে দুধে এমন সব উপাদান মিশিয়ে ভেজাল দুধ তৈরি করা হচ্ছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
স্বাভাবিকভাবে দেখে আপনি বুঝতে পারবেন না কোনটা আসল আর কোনটা নকল। কিন্তু এভাবে ভেজাল দুধ পান করতে থাকলে অচিরেই আমাদের নানা সমস্যায় ভুগতে হবে। তাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিভাবে আসল দুধ চেনা যায়। অর্থাৎ আপনি যে দুধ পান করছেন তা আসল নাকি নকল।
১। একটি কাপে ৫০-৭০ মি.লি.দুধ নিয়ে তার মধ্যে একটি লেবুর ১/৪ অংশ রস ফোঁঁটায় ফোঁঁটায় ঢালতে থাকুন এবং হালকা করে ঝাঁকুনি দিন। ৩-৪ মিনিট পর লক্ষ্য করুন দুধ যদি ছানায় পরিণত হয় তবে সেটা আসল দুধ আর যদি না হয় তবে সেটা কোন কেমিক্যাল মিশ্রিত দুধ।
২। যদি দেখেন দুধের আশেপাশে অন্য জিনিসে মাছি বসছে কিন্তু দুধে মাছি বসছে না। তবে বুঝবেন সেই দুধে ফরমালিন মেশানো আছে।
৩। মেঝের এমন জায়গায় কয়েক ফোঁটা দুধ ঢালুন, যেখান থেকে দুধ গড়িয়ে পরতে পারে। দুধ গড়িতে পরার পর যদি দেখেন মেঝেতে সাদা দাগ দেখা যাচ্ছে, তবে সেই দুধ আসল। আর যদি কোন সাদা দাগ না হয় তবে সেটা ভেজাল দুধ।
৪। কিছুটা দুধ নিয়ে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা সালফিউরিক অ্যাসিড মিশিয়ে দেখুন। যদি দুধের রং নীল দেখা যায়, বুঝতে হবে ফরমালিন মেশানো রয়েছে।
৫। অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা দুধে আটা, ময়দা এমনকি চালের গুঁড়ো মেশান। এর ফলে দুধের ঘনত্ব তেমন পরিবর্তন হয় না। এমন ভেজাল দুধ চিনতে আপনি এক চামচ দুধে কয়েক ফোঁটা টিংচার আয়োডিন মিশিয়ে দিন। দুধের রং হালকা নীল হলে বুঝবেন, এতে ভেজাল হিসেবে আটা বা ময়দা মেশানো রয়েছে।
৬। সঠিক দুধের পরিমাণ জানতে আপনি অধিক জনপ্রিয় ল্যাক্টোমিটার ব্যবহার করতে পারেন। কোন দুধ ভর্তি পাত্রের মধ্যে এই ল্যাক্টোমিটার প্রবেশ করালে যদি দেখেন লাল রেখা ৩০ এর কাছে, তবে বুঝবেন এটি খাঁটি দুধ। যদি এই রেখা ৩০ এর বেশি উপরে ওঠে, তবে দুধে ১/৪ পানি মিশ্রিত রয়েছে। এভাবে এই লাল রেখা যত উপরে উঠবে, তখন বুঝবেন দুধের পরিমাণ কম এবং পানি ও অন্যান্য ভেজাল উপাদানের পরিমাণ বেশি।
আশা করা যায় এভাবে আপনি আসল এবং নকল দুধ চিনতে পারবেন।