দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সাধারণত শীতকালে গরম পানি আর গরম কালে ঠান্ডা পানি পান করতে বেশি অভ্যস্ত। তবে নানা গবেষণার মাধ্যমে দেখা গিয়েছে নিয়মিত গরম পানি পান করার মাঝে রয়েছে অনেক উপকারিতা। তাই ডাক্তাররা প্রতিদিন কিছু পরিমাণে গরম পানি পানের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। আজ আমরা গরম পানি পানের নানা উপকারিতা সম্পর্কে জানবো।
১। ওজন বা মেদ কমাতেঃ
নানা কারণে আমাদের শরীরে মেদ বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস গরম পানি পান করুন। দ্রুত আপনার মেদ কমতে শুরু করবে।
২। কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করতেঃ
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি মারাত্মক সমস্যা। এটি আমাদের খাওয়ার রুচি কমিয়ে দেয়। শারীরিক রেচন কার্যে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। নিয়মিত গরম পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দুর হয়। সেই সাথে শারীরিক রেচন কার্য স্বাভাবিক থাকে।
৩। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখেঃ
রক্তের কার্যাবলি ঠিকভাবে সম্পাদন করতে গরম পানি পান করা উচিৎ। নিয়মিত গরম পানি পান করলে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কম থাকে।
৪। ব্যাথা নিরাময়ঃ
কোথাও ব্যাথা সৃষ্টি হলে সেই অংশে গরম পানি ঢালুন। দ্রুত ব্যাথা নিরাময় হয়ে যাবে। এছাড়া শরীরের অভ্যন্তরের কোথাও ব্যাথা অনুভব করলে গরম পানি পান করুন। গরম পানি শরীরের অভ্যন্তরের ব্যাথা নিরাময় করতে দারুন কাজ করে। এমনকি মেয়েদের পিরিয়ড জনিত সমস্যার সমাধানেও গরম পানি পান করা উচিৎ।
৫। জমে যাওয়া কফ নিরাময়েঃ
ঠান্ডায় অনেক সময় বুকে কফ জমে যায়। নানা উপায়ে হয়ত সেই কফ নিরাময় হচ্ছে না। তাহলে গরম পানি পান করুন, দ্রুত কফ বের হয়ে আসবে। এছাড়া নাক বন্ধ হয়ে থাকা সমস্যার সমাধানেও গরম পানি পান করুন।
৬। খাবার হজম এবং গ্যাস নিরাময়েঃ
একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে খাবার খাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানি পান করলে পাকস্থলীর ভেতরের দেওয়ালে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা কমে যায়। খাওয়ার কিছুক্ষন পর এক বা আধা গ্লাস গরম পানি পান করুন। তাহলে খাবার স্বাভাবিকভাবে হজম হবে এবং পেটে গ্যাস সৃষ্টি হবে না।
৭। চুলের সমস্যা সমাধানেঃ
নিয়মিত গরম পানি পান করলে চুলের গোড়া শক্ত থাকে। ফলে চুল পরে যাওয়া সমস্যা দেখা দেয় না এবং মাথায় খুশকি সৃষ্টি হয় না।
৮। ব্রণ এবং বলি রেখার ক্ষেত্রেঃ
ব্রণ সমস্যা সমাধানে গরম পানি পান করুন। গরম পানি ত্বকে ব্রণ সৃষ্টিতে বাঁধা প্রদান করে । সেই সাথে নিয়মিত গরম পানি পান করলে শরীরে বলি রেখার সৃষ্টি হয় না।
৯। শরীরকে বিষ মুক্ত রাখেঃ
নিয়মিত গরম পানি পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ সমূহ বের হয়ে যেতে সাহায্য করে। ফলে শরীর থাকে বিষ মুক্ত।
১০। স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করেঃ
গরম পানি পানের পরপরই সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেনের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেলও কমতে থাকে।